শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কোনো শিক্ষক যদি তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে না চেনেন তবে ওই স্কুলের এমপিও বাতিল করা হবে। শিক্ষার্থী না চেনা শিক্ষকের চাকরিও সরকারিকরণ হতে দেয়া হবে না। তার শিক্ষক হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই।’
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ডা. কাইসার রহমান চৌধুরী অডিটরিয়ামে জঙ্গিবিরোধী এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির করানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে ছুটবেন, আমাদের কর্মকর্তাদের নাজেহাল করবেন, আর শিক্ষার্থীর চেহারা চিনবেন না এমন হতে দেয়া হবে না। আপনার শিক্ষার্থীকে আপনাকেই চিনে রাখতে হবে। তার সব বিষয়ের খোঁজ রাখতে হবে। আপনার প্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থী ১০ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে তার অভিভাবকের সঙ্গে আপনাকে কথা বলতে হবে। অভিভাবক যদি নিশ্চিত করেন ওই শিক্ষার্থী নিখোঁজ তবে তার ব্যাপারে প্রশাসনকে জানাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘অনেকেই দেশের মাদ্রাসাগুলোর নামে অপপ্রচার চালায়। তারা বলে, মাদ্রাসা জঙ্গি তৈরির কারখানা। কিন্তু না, মাদ্রাসা জঙ্গি তৈরির কারখানা নয়। মাদ্রাসা ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সাম্প্রতিককালে দেশে যেসব জঙ্গি হামলা চালানো হচ্ছে, তার প্রায় সবগুলোর সঙ্গে নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়িত। এর সঙ্গে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জড়িত নয়। দু’একজন মাদ্রাসায় পড়া শিক্ষার্থী জঙ্গি হতে পারে। তাই বলে ‘মাদ্রাসা জঙ্গি তৈরির কারখানা’ - এ কথা বলা যাবে না। মাদ্রাসার নামে অপপ্রচার চালানো যাবে না। যারা জঙ্গি হচ্ছে, তাদের ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তাদের হুর-পরীর লোভ দেখানো হচ্ছে। অথচ মাদ্রাসায় ইসলামের সঠিক শিক্ষা দেয়া হয়। মাদ্রাসাকে আলাদাভাবে দেখা যাবে না।
‘শিক্ষার উন্নত পরিবেশ, জঙ্গিবাদ মুক্ত শিক্ষাঙ্গন’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এতে রাজশাহী বিভাগের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ অংশ নেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সোহরাব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব এসএম এহসান কবীর ও চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক প্রফেসর শামসুল হুদা, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মনির হোসেন, জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।
বিবার্তা/রিমন/নিশি