কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে মঙ্গলবার। গত ছয় মাসেও খুনিরা সনাক্ত না হওয়ায় এ হত্যার বিচার নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে তনুর পরিবার, সহপাঠীসহ এলাকাবাসী।
চলতি বছরের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার একটি জঙ্গল থেকে তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।তদন্তকারী সংস্থা ও কর্মকর্তার পরিবর্তন, দুই দফা ময়নাতদন্ত, কয়েক বার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সামরিক-বেসামরিকসহ অর্ধশতাধিক লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পরও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ঘাতকদের শনাক্ত বা গ্রেফতার করতে পারেনি প্রশাসন। তনুর ডিএনএ নমুনায় ৩ জন ধর্ষণকারীর শুক্রানু পাওয়া গেলেও ডিএনএ নমুনা ম্যাচিং কার্যক্রমও শুরু করতে পারেনি সিআইডি। তনুর ঘাতকরা আজও রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তনু হত্যাকারীদের ডিএনএ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার বাউল পদযাত্রা ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লা ও অচীন পাখি বাউল গোষ্ঠী।
গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লার কুমিল্লার সংগঠক খায়রুল আনাম রায়হান বলেন, ছয় মাস পেরিয়ে গেল কিন্তু এখন পর্যন্ত মামলার কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। পর পর দুই বার লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। কিন্তু মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা হয়নি। আমাদের দাবি তনু হত্যাকারীদের অল্পসময়ের মধ্যে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
অচীন পাখির বাউল গোষ্ঠীর বাউল বজলুর রহমান বাবুল জানান, ৩০ জন বাউলের অংশগ্রহণে নগরীর জামতলায় প্রতিবাদী সঙ্গীতের আয়োজন করা হয়।
তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, তনুই তো আমার একমাত্র ভরসা ছিল। আজ মেয়েকে হারিয়ে কেঁদে কেঁদে সময় কাটাচ্ছি। আমি কিছু চাই না, আমার তনু হত্যার বিচার চাই। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘাতকদের শনাক্ত ও গ্রেফতার দাবি করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন আছে, তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
বিবার্তা/বিল্লাল/রয়েল