সৌদি আরবের একটি সোফা তৈরির কারখানায় আগুনে পুড়ে নিহত নাটোরের নলডাঙ্গার চার শ্রমিকের মধ্যে তিন শ্রমিকের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বুধবার সকালে নলডাঙ্গার খাজুরা গ্রামে মরদেহ নিয়ে আসা হলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
দেশে আনা মরদেহগুলো হলো, নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা শ্রীপুরপাড়া গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে সামিউল ইসলাম (২০), খাজুরা জর্ণাদ্দনবাটি গ্রামের গফুর মোল্লার ছেলে জামাল হোসেন মোল্লা (৩৮) এবং আজাহার আলীর ছেলে অহিদুর রহমান অসীম (৩০)।
তবে, সৌদি আরবের দুতাবাসের আউট পাশ না থাকায় খাজুরার ভাটোপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে আমিনুল রহমানের (৩০) মরদেহ দেশে ফিরে আসেনি।
নিহত অহিদুর রহমান অসীমের ভাই আব্দুর রহিম জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার হযরত শাহাজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে মরদেহ এসে পৌছায়। পরে লাশবাহী একটি পিকআপে গ্রামের বাড়ি নলডাঙ্গার খাজুরা গ্রামে নিয়ে আসা হয়।
খাজুরা ইউপির চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান মরদেহ আসার খবরটি নিশ্চিত করে জানান, গ্রামে মরদেহ নিয়ে আসার পরে বুধবার বেলা ১১টায় খাজুরা ইসলামিয়া আলিম মাদরসা মাঠে জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় কবর স্থানে তাদের দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে সৌদি আরবের হারাজ বিন কাশেম মানফুহা এলাকায় একটি সোফা তৈরির কারখানায় আগুনে পুড়ে নাটোরের চার শ্রমিক নিহত হন।
বিবার্তা/জুবায়ের/কাফী