যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ল্যাবে কম্পিউটার রয়েছে ১৭টি। উদ্দেশ্য, শিক্ষার্থীদের মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস নেয়া, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলা। কিন্তু বিদ্যালযটিতে ল্যাব সহকারী নেই। একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে কর্তৃপক্ষ ল্যাবটি চালাচ্ছেন।
যশোর জিলা স্কুলের ল্যাবে কম্পিউটার রয়েছে ২০টি। তাদেরও একই অবস্থা।
শুধু ওই দু’টি বিদ্যালয় নয়, জেলার ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসায় কোনো ল্যাব সহকারী নেই। যেকারণে বেশিরভাগ বিদ্যালয়গুলো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে ল্যাবগুলো পরিচালনা করছে। এতে করে সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন শিক্ষাবিদরা।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলার ৮টি উপজেলায় ৫৪০টি বিদ্যালয় এবং ৩১১টি মাদ্রাসা রয়েছে। এরমধ্যে ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে।
এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৭টি, অভয়নগরে ৪টি, কেশবপুরে ৪টি, শার্শায় ৫টি, চৌগাছায় ৩টি, মনিরামপুরে ৬টি, ঝিকরগাছায় ৬টি এবং বাঘারপাড়া উপজেলায় রয়েছে ৩টি বিদ্যালয়ে ল্যাব। এছাড়া মাল্টি মিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস নেয়া হয় ৮০৩টি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায়।
যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের স্কুলের ল্যাবে ১৭টি কম্পিউটার রয়েছে। ল্যাব সহকারী না থাকায় একজন শিক্ষক দিয়ে এটি পরিচালনা করতে হচ্ছে। যেকারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক একেএম গোলাম আজম জানান, ল্যাবে থাকা ২০টি কম্পিউটার একজন প্রশিক্ষকপ্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে চালানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ লোক না থাকলে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়।
সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ৩ বছর আগে আমাদের স্কুলে ৮টি কম্পিউটার নিয়ে ল্যাব করা হয়েছে। কিন্তু কোনো ল্যাব সহকারী নেই। যেকারণে ঠিকমত ল্যাবটি পরিচালনা করা যাচ্ছে না। আবার শিক্ষার্থীরা ল্যাবে ঠিকমত আসে না।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম টুকু বলেন, ল্যাবগুলোতে প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকার কারণে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে এটি পরিচালনা করছে স্ব স্ব স্কুল। আমরা কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষকদের দক্ষ করে তুলছি। তারাই ল্যাবগুলো চালাবে।
এ ব্যাপারে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আমিরুল আলম খান বলেন, সরকার যে উদ্দেশে কম্পিউটার ল্যাব করছে, তার বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই ল্যাব সহকারী প্রয়োজন। কিন্তু পরিকল্পনা ছাড়াই এসব করার কারণে সরকারের টাকার অপচয় ঘটছে। বাস্তবায়ন খুবই সামান্য।
বিবার্তা/তুহিন/কাফী