বরগুনা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রণজিৎ কুমার সরকারসহ চারজনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এক ভুক্তভোগীর মামলায় দুদকের তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এ পরোয়ানা জারি করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এ পরোয়ানা জারি করলেও শুক্রবার বিষয়টি সবার কাছে জানাজানি হয়।
এ মামলায় পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য তিনজন হলেন বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের ২০১২-১৩ অর্থবছরের ইউপি সদস্য মো. নাজমুল আহসান নিজাম, মো. মহিব্বুল্লাহ রিপন এবং তাছলিমা এলেনুর।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাস্তবায়িত একাধিক প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে বরগুনার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) এবং দ.বি. ৪০৯/১০৯ ধারায় মামলায় (বিশেষ মামলা নং-০২/২০১৩) করেন বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের খাজুরতলা গ্রামের বাসীন্দা সামসুল হক সানু। মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠান।
এরপর দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মঙ্গলবার পিআইও রণজিৎসহ অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন আদালত।
এ মামলার বাদী সামসুল হক সানু তার অভিযোগে বলেন, পিআইও রণজিৎ সরকার অন্য আসামিদের যোগসাজশে ২০১২-১৩ অর্থবছরে আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের চারটি প্রকল্পের অনুকূলে কোনো কাজ না করেই বরাদ্দকৃত ১৮ লাখ টাকার মধ্যে ১৭ লাখই আত্মসাৎ করেন।
পরোয়ানা জারি হওয়ার পর আত্মগোপনে রয়েছে পিআইও রণজিৎ কুমার সরকারসহ অন্য তিনজন। তাই এখনো তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে তাদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানায় বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক।
বিবার্তা/জেমি/জিয়া