সৌদি আরবের দাম্মামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশী রফিকুল ইসলাম বাচ্চু হাওলাদারের (৩৮) ভাড়া বাড়ি সাভারের স্বরণিকা এলাকায় চলছে শোকের মাতম। নিহত পরিবারের সদস্যদের মাঝে চলছে কান্নার রোল।
দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সংসারের অভাব ঘোচাতে গত নয় বছর আগে পটুয়াখালি জেলার বাউফল থানার কিশবপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ হাওলাদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম বাচ্চু হাওলাদার বিল্ডিং কনষ্ট্রাকশনের কাজের জন্য স্ত্রী সন্তানদের ছেড়ে সৌদি আরব যান।
মাঝে গত কয়েক বছর আগে তিনি একবার মা ও স্ত্রী সন্তানদের দেখতে বাংলাদেশে এসেছিলো। পরে আবারও তিনি সৌদি আরব চলে যান। কথা ছিলো সৌদি আরবের পরিশ্রমের টাকায় দেশে এসে ব্যবসা করে সংসার চালানোর। স্বামীকে হারানোর বেদনায় তার স্ত্রী নাজনীন ও ১০ বছরের মেয়ে সানিয়া আক্তার সুচি বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন।
নিহত রফিকুলের স্ত্রী নাজনীন জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় সৌদি আরবের দাম্মামে নিজ কর্মস্থলে মাইক্রোবাসে করে যাওয়ার পথে একটি রাস্তায় প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনি নিহত হয়। এখন পর্যন্ত তার লাশ সৌদি আরবে রয়েছে। দ্রুত তার স্বামীর লাশ বাংলাদেশে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তার স্ত্রী।
বিবার্তা/শরীফুল/যুথি