টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শনিবার দুপুর বারটা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার আসামি সরকার দলীয় সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার আটক থাকায় আইন শৃঙ্গলার অবনতির আশংকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহিন এ আদেশ জারি করেন।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও এলাকাবাসী জানায়, ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে টাঙ্গাইল-৩(ঘাটাইল) আসনের সরকার দলীয় সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা সহ চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা প্রত্যাহার এবং এমপি রানার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় এমপি রানার অনুসারীরা । এদিকে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার আসামী এমপি আমানুর রহমান খান রানা সহ চার ভাইয়ের ফাঁসির দাবীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম লেবুর সভাপতিত্বে একই স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশর ডাক দেয়। এর ফলে উপজেলার হামিদপুর বাজার এলাকায় আইন শৃঙ্গলা অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দেয়।
ফলে হামিদপুর বাজার এলাকায় শাস্তি শৃঙ্গলা বজায় রাখার জন্য সকল প্রকার সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে শনিবার দুপুর বারটা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহিন। এলাকায় যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
হামিদপুরে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় পার্শ্ববর্তী কদমতলী এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে এমপি রানার সমর্থকরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল ও ট্রাক যোগে হাজারো নেতাকর্মী এসে উপস্থিত হয় কদমতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। সেখানে কয়েক হাজার নারী পুরুষের সমাবেশ ঘটে। এ সময় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তীব্র যানযটের সৃষ্ঠি হয়। মোটরসাইকেল মিছিল উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। তারা কদমতলী ও ঘাটাইল কলেজ মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মোত্তালিব হোসেন , যুবলীগ নেতা মোঃ সুলতান মাহমুদ সুজন, রুকনুুজ্জামান ঠান্ডু , ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন , উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জুয়েল মিয়া ও মিন্টু মেম্বার প্রমুখ।
বিবার্তা/ইডি/ইফতি