যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় তিন ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। আহত ছিনতাইকারীরা পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি মোটরসাইকেল, ছিনতাই করা টাকা ও একটি রিভলবার।
ছিনতাইকারীদের অস্ত্রের আঘাতে ফারুক হোসেন নামে এক সরকারি কর্মচারী আহত হয়েছেন।
তিন ছিনতাইকারী হলো- ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে খলিলুর রহমান (২৭), একই গ্রামের মৃত পান্নু খানের ছেলে আজাদুর রহমান খান (৩২) এবং শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বড় কুলচারা গ্রামের বিশারত আলীর ছেলে নূর আলম (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বাঘারপাড়ার বুদোপুর ছাতিয়ানতলা গ্রামের মাছিম মোল্লার ছেলে ফারুক হোসেন (৪৫) অভয়নগরের ভাটপাড়ায় ভারপ্রাপ্ত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। রবিবার সকাল ৯টার দিকে তিনি কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে রওনা দেন। ধলগা-বসুন্দিয়া সড়কের বাররা স্কুলের সামনে সকাল ১০টার দিকে একটি মোটরসাইকেল আড় করে দিয়ে তিন ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে।
ফারুক হোসেন বলেন, ছিনতাইকারীরা তার মাথায় রিভলবার দিয়ে আঘাত করে টাকা, মোটরসাইকেলের চাবি ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এ সময় তিনি কৌশলে ছিনতাইকারীদের মোটরসাইকেলটির চাবি হাতিয়ে নিয়ে পাশের জয়রামপুরে পালিয়ে যান।
ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেলের চাবি উদ্ধারের জন্য তার পিছু নেয়। এসময় তিনি চিৎকার দিলে গ্রামবাসী ছুটে এসে তিন ছিনতাইকারীকে ধরে পিটুনি দেয়। পরে তাদের কাছ থেকে একটি রিভলবার ও ছিনতাই করা ১৫ হাজার ৪৭৬ টাকা উদ্ধার করা হয়। খবর দেয়া হয় ভিটাবল্লা পুলিশ ক্যাম্পে।
ভিটাবল্লা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সোহাগ জানান, খবর পেয়ে তিনি ফোর্সসহ আলাদিপুর বাজারে গিয়ে তিন ছিনতাইকারীকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বিবার্তা/তুহিন/কাফী