ঝালকাঠিঝালকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই কলেজের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক নীল কমল সানা বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক।
সূত্র জানায়, ওই শিক্ষক কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষক নলি কমল। এরপর তাদের দীর্ঘদিনের কথোপকথন মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন। সম্প্রতি ওই ছাত্রী তার নিজ এলাকা পুটিয়াখালীতে একটি মোবাইলের দোকানে গান ডাউনলোড করতে গেলে শিক্ষার্থীর মেমোরিকার্ড থেকে দোকানের কর্মচারি ওই কথোপকথন কপি করে রাখেন।
এরপর ফোন রেকর্ড ওই কম্পিউটার থেকে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালে বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান এ বিষয়টি কলেজ সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানায় এবং ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন।
এরপর গত ১৪ সেপ্টেম্বর একটি সভায় কলেজ অধ্যক্ষ ও সভাপতির উপস্থিতিতে ওই শিক্ষককে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়। কলেজ শিক্ষক নোটিশের কোনও জবাব না দেওয়ায় গত ২১ সেপ্টেম্বর কলেজের নীতি নির্ধারণি পর্ষদ অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করলেও বিশষয়টি প্রকাশ পায় রবিবার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক নীল কমল সানার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের কল করেলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ ও না শর্তে বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজের একজন প্রভাষক বলেন, ‘যাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হচ্ছে তার কোনও অভিযোগ ছাড়াই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটা অনৈতিক ও নিয়ম বর্হিভূত।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ সভাপতি শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয়দের একটি অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই শিক্ষককে শোকজ করে তার কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। সে সঠিক কোনও জবাব না দেওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
বিবার্তা/ইফতি