সাভারে একটি নকল কারখানায় ফ্রিজের ভোল্টেজ স্টাবিলাইজার তৈরি করে বাংলাদেশের নামিদামি ব্র্যান্ডের প্যাকেটে করে তা বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দুই ব্যক্তি।
ওই কারখানার আলেক নামের এক শ্রমিক জানান, সাভার পৌর এলাকার দক্ষিণ বক্তারপুর এলাকায় গত দেড় বছর আগে মাদার করর্পোরেশন নামের ফ্রিজের ভোল্টেজ স্টাবিলাইজার কারখানাটি চালু করেন এনামুল হক শামীম ও আসাদুজ্জামান সোহাগ নামের দুই ব্যক্তি।
তিনি বলেন, ওই নকল কারখানায় পুরাতন ফ্রিজের ভোল্টেজ স্টাবিলাইজার তৈরি করে বাংলাদেশের ওয়ালটন, মার্সেলসহ বিভিন্ন বক্সে ভরে বিভিন্ন শোরুমে বিক্রি করেন মালিকরা। মানুষ ওয়ালটন, মার্সেল পণ্য মনে করে তা কিনে নিয়ে যায়।
শ্রমিকরা সকাল ৯টায় কারখানায় এসে কাজ শুরু করেন, শেষ করেন সন্ধ্যা ৭টায়। দিনে কয়েক হাজার ফ্রিজের ভোল্টেজ স্টাবিলাইজার তৈরি করেন তারা। এছাড়া ওই কারখানাটিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে প্রায় ১৫ জন শিশু শ্রমিক কাজ করেন।
এদিকে ওই নকল পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। তারা দ্রুত সাভার উপজেলা প্রশাসনকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে নকল কারখানাটি সিলগালা করে করার আহ্বান জানান।
এদিকে নকল কারখানার মালিক এনামুল হক শামীম বলেন, উপর মহলের নির্দেশে আমি এই নকল কারখানা চালু করেছি। তাই নকল পণ্য তৈরি করতে আমার কোনো ভয় নেই। আমাকে সাভারের বিভিন্ন শোরুমের লোকজন ভোল্টেজ স্টাবিলাইজার তৈরির অর্ডার দেয়, আমি তৈরি করে দেই।
তিনি আরো বলেন, আমি তিনটি পত্রিকার সাংবাদিক। আমার নকল কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ঠেকাতে আমি মানুষের কাছে সাংবাদিক পরিচয় দেই। যাতে নকল কারখানা নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে না পারে।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু নাসের বেগ জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ওই নকল ফ্রিজের ভোল্টেজ স্টাবিলাইজার কারখানায় খুব শিগগির অভিযান পরিচালনা করব।