দুর্গা উৎসব সামনে রেখে সারাদেশের মতো বগুড়ার ধুনটেও চলছে প্রতিমা গড়ার কাজ। কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে। এবার উপজেলার বিভিন্ন মণ্ডপে ২৫টি প্রতিমা স্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।
শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে শেষ মুহূর্তে কেউ কাদামাটির তৈরি প্রতিমার শরীরে মাটির শেষ আঁচড় দিতে ব্যস্ত। আবার কেউ রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমাকে মনের মতো করে ফুটিয়ে তোলার শেষ কাজটি করছেন। সরকারি অনুদান এখনো না পেলেও তা পাবেন বলে আশা করছেন পূজা উদযাপন পরিষদ।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিকাশ চন্দ্র সাহা জানান, এবার পৌর এলাকায় ৪টি, কালের পড়ায় ৫টি, চিকাশী ১টি, এলাঙ্গী ৩টি, গোসাইবাড়ী ৩টি, ধুনট সদর ইউনিয়নে ১টি, ভান্ডারবাড়ী ১টি, মথুরাপুর ৪টি, গোপালনগর ৩টিসহ ২৫টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পূজার মূলপর্ব শুরু হবে ৭ অক্টোবর। তিনি আরো জানান, সরকারি অনুদান সমভাবে বণ্টন হবে। কারণ শহর থেকে গ্রামে অনুদান বেশি প্রয়োজন। তাছাড়া এবার তারা নিয়ম করেছেন বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। প্রতিটি মন্ডপে থাকবে মহিলা পুরুষের সমন্বয়ে আনসার বাহিনী।
ধুনট কেন্দ্রীয় মন্দিরের প্রতিমা শিল্পী রঘুনাথ পাল বলেন, এবার পারিশ্রমিক তিনহাজার টাকা বেশি পাবো। কিন্তু শেষের দিকে বলে কাজের চাপ বেশি। তিনি ১৫টি প্রতিমা তৈরি করছেন।
প্রতিমা তৈরীর ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রতিমা তৈরি করা হয় কয়েকটি পর্যায়ে। প্রথমে মাটি খড় বাঁশ দিয়ে কাঠামো নির্মাণ করা হয়। এরপর আসে রঙের কাজ। তারপর অলংকার সজ্জিত করা। সবশেষে আসে বস্ত্র পরানো।
উপজেলার প্রধান পুরোহিত অশোক কুমার চক্রবর্তী জানান, পুরান অনুযায়ী দেবতা ও অসুরদের মধ্যে একবার ভীষণ যুদ্ধ বাধে। স্বর্গহারা হয়ে পড়েন দেবতারা। তখন দেবতারা দেবরাজ ইন্দ্রের নেতৃত্বে ব্রহ্মার কাছে যান। এরপর ব্রহ্মার মুখে এমন মর্মান্তিক কথা শোনেন বিষ্ণু ও মহেশ্বর।
তারা ক্রুদ্ধমূর্তি ধারণ করলেন। ব্রহ্ম বিষ্ণু ও শিবসহ অন্যান্য দেবতাদের শরীর থেকে ভয়ংকর তেজ বের হলো। সেই তেজ একত্রিত হয়ে এক দিব্য নারী মূর্তির সৃষ্টি হলো। ইনিই দুর্গতি নাশিনী মাতৃশক্তিরুপি দেবি দুর্গা।
বিবার্তা/ফরহাদ/কাফী