যশোরে এসপি অফিস থেকে দরপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় টেন্ডারবাজদের হাতে লাঞ্ছিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যশোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে তিনি লাঞ্ছনার শিকার হন। দুর্বৃত্তরা তার পরনের পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলে। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের এমন কাজে বিস্ময় প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি এঘটনার জন্যে পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করেন।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন প্রেসক্লাব যশোরে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দুটি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি কাজের প্রায় ৪৬ কোটি টাকার কাজের টেন্ডার জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল বুধবার দুপুর ১টায়। তিনি চারটি যৌথ প্রতিষ্ঠানের হয়ে টেন্ডার জমা দিতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে টেন্ডার বাক্স দেখতে পাননি। ফলে তিনি টেন্ডার জমা দিতে ব্যর্থ হন।
ওই সময় তিনি টেন্ডার বাক্সের দায়িত্বে থাকা অফিস সহকারীর কক্ষে বসেছিলেন। হঠাৎ এক যুবক এসে তার কাছ থেকে একটি টেন্ডারপত্রের খাম ছিনিয়ে নেয় এবং তার গায়ের পাঞ্জাবিটি ছিড়ে ফেলে। তিনি উল্লিখিত ঠিকাদারি কাজের দরপত্র নতুন করে আহ্বান ও টেন্ডারবাজ-সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এসব টেন্ডারবাজের কারণে যশোরের প্রকৃত ঠিকাদাররা কোনো টেন্ডারে অংশ নিতে পারেন না। পুলিশ প্রশাসন এসব বিষয়ে অবগত থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মেহেদী হাসান মিন্টু, দলীয় নেতা সেলিম আহমেদ, সুখেন মজুমদার, হাফিজুর রহমানসহ বেশ কিছু নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এসব বিষয়ে জানতে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার সেল ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ আবু সরোয়ার বলেন, সরকারি কাজে জেলার বাইরে আছি। এসব বিষয় আমার জানা নেই।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। কেউ এ বিষয়ে আমাকে কিছুই জানায়নি। কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে ঘটনাস্থলে ওসি উপস্থিত ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
উলেখ্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি কাজে প্রায় ২৩ কোটি টাকা এবং পিডাব্লিউডির একটি গ্রুপের ২৩ কোটি টাকার কাজের দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল বুধবার।
বিবার্তা/তুহিন/কাফী