যশোর শহরের বারান্দীপাড়ার বিল্লাল হোসেন হত্যা মামলায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্তরা হলো- বারান্দী মোল্লাপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম জিতু, তাকিয়ার রহমানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন ওরফে আব্দুর রহমান, বারান্দীপাড়া বটতলার লুৎফর রহমান বাবুর ছেলে শফিয়ার রহমান শফি ও ঝুমঝুমপুর উত্তরপাড়ার আবু তাহেরের ছেলে মিঠু।
বুধবার বিকেলে স্পেশাল জজ(জেলা জজ) আদালতের বিচাকর নিতাই চন্দ্র সাহা এ সাজা দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৯ জুন সন্ধ্যায় আসামি শফি বাড়ি থেকে বিল্লালকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে আসামি শফি নিহত বিল্লালের বাড়িতে সংবাদ দেয় জিতু, সাখাওয়াত ও মিঠু তাকে মদ খাওয়ায়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। শফির কথায় এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজন তার সাথে গিয়ে দেখে বারান্দীপাড়া পানির ট্যংকির পাশে হাজী নেয়ামতের নির্মাণাধীন বাড়ির মধ্যে বিল্লালের লাশ পড়ে আছে।
পরদিন নিহতের পিতা হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৪জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি মামলার তদন্ত শেষে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই ৪জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারেস শিকদার।
এ মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় বিচারক আসামি জিতু, সাখাওয়াত, শফি ও মিঠুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও ২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সাজাপ্রপ্ত শরিফুল ইসলাম জিতু বাদে সব আসামি পলাতক রয়েছে।
বিবার্তা/তুহিন/কাফী