গাজীপুরের টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরীর টাম্পাকো ফয়েলস কারখানার ধ্বংসাবশেষ থেকে বুধবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে কিছু হাড় উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস। এখন পর্যন্ত টাম্পাকো কারখানায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৩৯ জন।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, টাম্পাকো ফয়লস লিমিটেড কারখানার ধ্বংসস্তুপ সরানোর সময় দুপুর সোয়া ২টার দিকে কারখানার ভেতর থেকে মানুষের কিছু হাড় পাওয়া গেছে। এগুলো আগের উদ্ধারকৃত কোনো লাশের কিনা তা বুঝা যাচ্ছে না। এ হাড়গুলো নতুন কোনো লাশের হলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪০ জনে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর ভোরে টঙ্গীর বিসিক নগরীতে বিএনপির সাবেক সাংসদ মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন টাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই কারখানার ভবনের অধিকাংশই ধসে পড়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।
কারখানায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯জন নিহত, ৪০ জন আহত ও ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ২৯ জন এবং ৬ জনের পরিচয় এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ ১১ জনের স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ-এর আলামত নেয়া হয়েছে।
অপরদিকে কারখানায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কারখানার মালিক সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হেসেনকে প্রধান আসামি করে টঙ্গী মডেল থানায় এ পর্যন্ত দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর কারখানা মালিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি করেন নিহত শ্রমিক জুয়েলের বাবা আব্দুল কাদের।
এদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে টঙ্গী মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) অজয় চক্রবর্তী বাদী হয়ে কারখানা মালিকে প্রধান করে আরও ১০ জনকে আসামি করে দ্বিতীয় মামলাটি করেন।
বিবার্তা/তুহিন/রয়েল