যশোরে টেন্ডারবাজদের হাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের দড়াটানায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ এ কর্মসূচি নেয়। পরে সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লাঞ্ছনার শিকার শহিদুল ইসলাম মিলন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মিলন, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুখেন মজুমদার প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মধ্যে হামলা করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। তার গায়ের পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলেছে। অথচ পুলিশ তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং অবিলম্বে টেন্ডার বাতিল করতে হবে। তা না হলে যশোরে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেন বক্তারা।
সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লাঞ্ছনার শিকার শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, যশোর চলছে এক বড় ভাইয়ের কথা মতো। তার পোষ্য সন্ত্রাসীদের কারণে সাধারণ ঠিকাদাররা দরপত্র দাখিল করতে পারছে না।
উলেখ্য, বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে লাঞ্ছনার শিকার হন শহিদুল ইসলাম মিলন। দুর্বৃত্তরা তার গায়ের পাঞ্জাবিটি ছিড়ে ফেলে। তিনি দু’টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪৬ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজের চারটি যৌথ প্রতিষ্ঠানের হয়ে দরপত্র জমা জমা দিতে এসপি অফিসে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে টেন্ডারবাক্স না পাওয়ায় দরপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হন।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে কোতোয়ালি থানায় এজাহার দাখিল করেন শহিদুল ইসলাম মিলন। ডিউটি অফিসার মিজানুর রহমানের কাছে দাখিলকৃত শহিদুল ইসলাম মিলনের স্বাক্ষর করা এজাহারে শহরের আরএন রোডের কানা রুবেল ও ধর্মতলার কালো রিপনের নামসহ অজ্ঞাত ২০/২২ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবার্তা/তুহিন/কাফী