কুমিল্লা নগরীর শাকতলা এলাকার একটি বাসা থেকে লিপি আক্তার (১৮) নামে এক পোশাক শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ জুলেখা নামে এক নারীকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাকতলা এলাকার ময়নাল হোসেনের বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে ভাড়াটিয়া লিপির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তরুণী জেলার চান্দিনা উপজেলার বেলাশর গ্রামের এরশাদ মিয়ার মেয়ে। তিনি কুমিল্লা ইপিজেডের নাসা গার্মেন্টস নামে একটি পোশাক কারখানার কর্মী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই বাড়িতে জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার পদুয়া গ্রামের আবদুল্লাহ ও তার স্ত্রী জুলেখার ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন গার্মেন্টস কর্মী লিপি আক্তার। বুধবার রাতে লিপি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে প্রচার করে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে নিয়ে যান জুলেখা ও তার পরিবারের সদস্যরা। কয়েক ঘণ্টা পর লিপিকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়াদের সন্দেহ হলে তারা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ওই বাসায় গেলে লিপির মৃতদেহ দেখতে পায়। এ ঘটনায় জুলেখাকে আটক করা হয়। তবে তার স্বামী আগেই পালিয়ে গেছেন।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। লিপি আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা জানা যাবে।
বিবার্তা/ইফতি