সাভারের আশুলিয়ায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি কেমিক্যাল কারখানায় বিষাক্ত ধোঁয়ায় শ্রমিক ও এলাকাবাসী নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ধুঁকছে। ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে কারখানার শ্রমিকরা।
সাভারের আশুলিয়া ইউনিয়নের টঙ্গাবাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা নোবেল কেমিক্যাল নামের কারখানাটিতে মেশিনে টায়ারের তার পুড়িয়ে ফেরাস সালফেড তৈরি করে বিভিন্ন গার্মেন্টসে বিক্রি করছে কর্তৃপক্ষ। ওই কারখানায় দুর্গন্ধে এলাকার আশপাশের লোকজন নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। তাদের শরীরে চুলকানি, অ্যাজমাসহ নানা রোগ জন্ম নিচ্ছে। অন্যদিকে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে শিশুদের।
এলাকাবাসী জানায়, নোবেল কেমিক্যাল নামের কারখানাটি দুই বছর আগে ঢাকার এম এ মতিন চৌধুরী নামের এক ব্যক্তিসহ তিনজন চালু করেন। টিনসেডের ওই কারখানায় শ্রমিক রয়েছে ১৫ জন। কারখানাটিতে অবৈধভাবে বিভিন্ন গাড়ির টায়ারের তার পুড়িয়ে ফেরাস সালফেড বানিয়ে বিভিন্ন গার্মেন্টসের ইটিপির কাজে বিক্রি করেন মালিকপক্ষ। বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
তাদের দাবি, প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে আবার নির্বিঘ্নে চলছে এই অবৈধ ব্যবসা।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক খবির উদ্দিন জানান, এসব ঝুঁকিপূর্ণ কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করার ফলে অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ওই কারখানার দুর্গন্ধে মানুষের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হবে। মানুষ বেশিদিন বেঁচে থাকার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে।
তিনি আরও বলেন, এসব কারখানায় যদি কোনো কারণে মেশিনের বিস্ফোরণ ঘটে, তাহলে ২ থেকে ৩ কিলোমিটার এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
স্থানীয় অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটি অবৈধভাবে প্রকাশ্যে কেমিক্যালের ব্যবসা করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এলাকার মানুষের সুস্থ জীবন ও পরিবেশের কথা চিন্তা করে কারখানাটি অন্যস্থানে সরিয়ে নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেন তারা। সরিয়ে না নিলে এলাকাবাসী কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন।
তবে এবিষয়ে কারখানার মালিকপক্ষ কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।