বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার নাগরিকরা স্মার্ট কার্ড পাচ্ছেন। আগামী ৩ অক্টোবর তাদের মাঝে এই কার্ড বিতরণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার স্মার্ট কার্ড বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনের পরদিনই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা কার্ড বিতরণ করতে বিলুপ্ত ছিটমহলে যাবেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৩ অক্টোবর বেলা ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ স্মার্ট কার্ড বিতরণ উদ্বোধন করবেন। নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য কমিশনার, কমিশনের সচিব, এনআইডি প্রকল্পের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন তার সফরসঙ্গী হবেন।
পরে দাসিয়ারছড়ার কালিরহাট বাজারে এক সুধি সমাবেশে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
দাসিয়ারছড়ার বাসিন্দা আলতাফ হোসেন বলেন, আমাদের দুঃখের দিন শেষ হয়েছে। এখন আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। ভোটের অধিকার পেয়েছি। নাগরিকত্বের কার্ড পাচ্ছি। আমাদের সব স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।
মনির হোসেন বলেন, হামরা ভারতে নাগরিক হয়াও পরিচয়পত্র পাই নাই। এবার কার্ড পাইলে হামরা বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিবার পামো।
বিলুপ্ত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ৬৮ বছরের নাগরিকত্বহীন জীবনের অবসান হয়ে গেছে। এখন কার্ডটি হাতে পেলে মনে হবে আমরা সত্যি সত্যিই এই দেশের নাগরিক হয়ে যাব। তাই সবার অপেক্ষা কখন সেই প্রত্যাশিত কার্ডটি হতে পাব।
বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দারা জানান, প্রায় ৭ দশক তারা রাষ্ট্রহীন ও অধিকারহীন মানুষ হিসেবে দুর্বিসহ জীবনযাপন করেছেন। দীর্ঘদীন আন্দোলন করার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশ ও ভারতের ১৬১টি ছিটমহল বিনিময়ের পর বদলে যায় দৃশ্যপট।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ছিটমহল এদেশের ভুখন্ডের সাথে যুক্ত হওয়ার পর প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ পান নাগরিক অধিকার।
আগামী ৩১ অক্টোবর কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলার ১১টি বিলুপ্ত ছিটমহল সংলগ্ন ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিবার্তা/রোকন/কাফী