টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমদ হত্যার ঘটনা তদন্ত করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শনিবার সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি বরাবর ওই আবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগের কর্মী আনিছুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলীকে আটক করে তাঁদের ওপর নির্যাতন ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়। অথচ আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ আমিনুর রহমান খান বাপ্পী, এনজিওকর্মী শহীদ মতিউর রহমান মতিন, মামলার আসামি মুরাদ সিদ্দিকী, আজাদ সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা আলী ইমাম তপনকে বাঁচাতে ডিবি পুলিশকে দিয়ে নাটক সাজানো হয়েছে।
পুলিশি নির্যাতন ও স্বীকারোক্তি আদায়ের ঘটনা লিখিতভাবে আদালতকে জানানো হয়েছে। আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘আসামি রাজা আদালতকে জানিয়েছে, আটকের পর টানা ১৫ দিন তাকে নির্যাতন চালিয়েছে ডিবি পুলিশ। তাই সে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে জবানবন্দি দিতে বাধ্য হয়েছে। একই বক্তব্য দিয়েছে মামলার আরেক আসামি মোহাম্মদ আলী।
এ অবস্থায় মামলার প্রকৃত আসামিদের চিহ্নিত করতে সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে তদন্তের উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’ প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কলেজপাড়ায় নিজ বাসার কাছে ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। পরে তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর সন্দেহভাজন দুই আসামির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান রানাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আসামি করে গত ৩ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
বিবার্তা/ইফতি