শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পানবর গ্রামে ভারতীয় একটি বন্যহাতি মারা গেছে।
রবিবার সকাল ১১টায় ওই গ্রামের পাহাড়ের ঢালে একটি ধান খেত থেকে বন্যহাতির মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে হাতিটি মারা যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
এদিকে, হাতির দলটি ওই গ্রামে ৭/৮টি বাড়িতে ভাঙচুর করেছে বলেও জানান তারা।
বন বিভাগের ঝিনাইগাতীর তাওয়াকুচা বীট কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম জানান, মৃত হাতিটির বয়স আনুমানিক ৯/১০ বছর হবে। এটি দাতাল পুরুষ হাতি। লেজসহ লম্বায় ১২/১৩ ফুট হতে পারে। ময়নাতদন্তের পর হাতিটির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ময়নাতদন্ত শেষে ঘটনাস্থলের পাশেই হাতিটির মরদেহ মাটিচাপা দেয়া হবে।
স্থানীয় লোকজন জানান, দুই সপ্তাহ ধরে ঝিনাইগাতীর কাংশা ইউনিয়ন ও আশপাশের এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে আসা ৩০/৩৫টি হাতির একটি দল তাণ্ডব চালাচ্ছে। সেপ্টেম্বরের শেষদিকে তিনদিনের ব্যবধানে কাংশা ইউনিয়নের ওই এলাকায় নারীসহ দুইজন বন্যহাতির আক্রমণে নিহত হয়েছেন। প্রতিরাতেই বন্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে ধানের খেত খেয়ে সাবাড় করাসহ ঘরবাড়িতে হানা দিয়ে নানা ক্ষয়ক্ষতি করছে। ভোরের আলো ফোটার আগেই আবার বন্যহাতির দল পাহাড়ে ফিরে যায়। শনিবার রাতেও বন্যহাতির দল লোকালয়ে হানা দিয়ে খেতের ধান খাওয়াসহ ৮টি বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
হাতি তাড়াতে লোকজন মশাল জ্বালিয়ে, টিন পিটিয়ে, জেনারেটরের আলো জ্বালিয়ে হৈ হল্লা করেও তাড়াতে না পারায় শনিবার রাতে স্থানীয় অদিবাসীরা জেনারেটরে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হাতি তাড়াতে চেষ্টা করে। সেই জেনারেটরের বৈদ্যুতিক শকেই হাতিটি মারা গেছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।
বিবার্তা/সানী/নাজিম