যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের বাঘারপাড়া উপজেলার প্রধান সড়কটির সংস্কার কাজ হচ্ছে না দীর্ঘ দিন। বেহাল দশার সড়কটি দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের।
জন দুর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য সড়কটিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে হস্তান্তরের দাবিও জানিয়েছে বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদ।
যশোর-নড়াইল সড়কের বাঘারপাড়া মোড় থেকে রায়পুর, খাজুরা হয়ে জহুরপুর পর্যন্ত এ সড়কের দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার। যশোর-নড়াইল সড়ক থেকে বাঘারপাড়া উপজেলা সদর পর্যন্ত সড়কের দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটার। এ অংশের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, বিকল্প পথে ১০ কিলোমিটার ঘুরে গেলেও পারতপক্ষে এ রাস্তায় কেউ চলাচল করেন না।
একটি সূত্র জানিয়েছে, মাঝে-মধ্যে সড়কটিতে আপদকালীন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয়ে থাকে। এ ধরণের কাজ যেহেতু দাপ্তরিকভাবে হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে হিসাব নেয়ার কেউ থাকে না। এ কাজ দপ্তরের কর্তা ব্যক্তিদের বাড়তি আয়েরও উৎস। সে কারণে যতদিন সংস্কার কাজ না হবে, ততদিন তাদের আয়ের উৎস সচল থাকবে। এ কারণেই সওজ’র কর্মকর্তারা রাস্তাটির ব্যাপারে উদাসীন।
যশোর-নড়াইল সড়ক থেকে বাঘারপাড়া উপজেলা সদর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক উপজেলা ব্যবস্থা চালুর পরপরই এ অংশ হস্তান্তর হয় সড়ক ও জনপথ বিভাকে। বাকি ১৯ কিলোমিটার রাস্তা হস্তান্তর হয় ২০০২ সালে। স্থানীয়দের দাবি, সড়ক ও জনপথ বিভাগে হস্তান্তরের আগেই সড়কটি ভালো থাকতো।
এ বিষয়ে বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিয়ুর রহমান জানিয়েছেন, বিভিন্নভাবে বলেও সড়কের কোনো উন্নয়ন বা সংস্কার কাজ হচ্ছে না। এ কারণে পরিষদের সভায় প্রস্তাব নেয়া হয়েছে সড়কটি যাতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ফিরে আসে। আর এর জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ পাঠানো হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।
কথা হয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোর’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেহেদী ইকবালের সাথে। তিনি বলেন, রাস্তাটি তিনি নিজেও দেখেছেন। বেশিরভাগ জায়গার ইট উঠে গেছে, বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি অর্থ আনার জন্য। যাতে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য আপদকালীন কাজ করা যায়। সড়কটি অনেক দীর্ঘ। ভালোভাবে কাজ করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। সড়কের উন্নয়ন কাজের জন্য নকশা হচ্ছে। এটি অনুমোদন হলে আমরা প্রকল্প প্রস্তাব পাঠাবো। এরপর তহবিল পেলে সড়কটিতে ভালোভাবে কাজ করা যাবে।
বিবার্তা/তুহিন/কাফী