খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, গার্ড, ডাইনিং বয়সহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহির মুন্সি (২০) ও আশিকুর জামান কমলকে (২২) খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনা পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসের সামনে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী বলছেন, ছাত্রলীগের নবঘোষিত হল কমিটি নিয়ে মতবিরোধের জের ধরে পদবঞ্চিতরা এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শাফায়েত হোসেন নয়ন বলেন, ফজলুল হক হলের সামনে আমি ও সাধারণ সম্পাদক আলী ইমতিয়াজ সোহান অবস্থান করছিলাম। এ সময় অস্ত্র নিয়ে একদল বহিরাগত আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। সামান্যর জন্য গায়ে লাগেনি। ওই সব সন্ত্রাসীরা সাধারণ শিক্ষার্থী, গার্ড, ডাইনিং বয়সহ অন্তত ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে।
তিনি আরও জানান, এছাড়া বঙ্গবন্ধু হলের ডাইনিং ম্যানেজারদের গণধোলাই দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কেননা তারা দীর্ঘদিন ধরে ডাইনিংয়ের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলো। তিনি দাবি করেন, দুটি ঘটনার সঙ্গেই ছাত্রলীগ জড়িত না।
খানজাহান আলী থানার ওসি আশরাফ হোসেন জানান, কুয়েটের ভেতরে ছাত্রদের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে এমন সংবাদ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় বহিরাগতরা যাতে ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য প্রধান ফটকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিবার্তা/ইফতি