আমারিকার ওহাইও অঙ্গরাজ্যের রাজধানী শহর কলাম্বাসে প্রবাসী বাঙ্গালীদের কাছে গত শনিবারের (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যাটি ছিল সুর-মূর্ছনার। সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত গানে গানে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন প্রথিতযশা শিল্পী তপন চৌধুরী এবং কানাডা প্রবাসী নতুন প্রজন্মের শিল্পী দীপ্তি জাহান।
‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি গেয়ে অনুষ্ঠানের সুচনা করেন দীপ্তি জাহান। তারপর একে একে আধুনিক, পুরানো দিনের বাংলা গান এবং হিন্দি গান পরিবেশন করে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন তিনি।
‘কলেজের করিডোরে দেখেছি’, ‘পলাশ ফুটেছে’, ‘ও পাগল মন রে’, ‘আমার গল্প শুনে কারো চোখে’, ‘ফরেস্ট হিলের দুপুরে’, ‘হারানো দিনকে আমি ফিরে যদি পাই’, ‘এই মুখরিত জীবনের চলার পথে’- গানগুলো দিয়ে তপন চৌধুরী তার সুরের যাদুতে বরাবরের মতো বশ করে রাখেন হলভর্তি দর্শকদের। তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলা গানে তপন চৌধুরীর স্বতঃস্ফূর্ত বিচরণ, তার গাওয়া শত শত গানের প্রায় সবই জনপ্রিয়।
দেশের আরেক প্রথিতযশা সঙ্গীতশিল্পী লাকি আখন্দের সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন এই দুই গুনী শিল্পী। লাকী আখন্দের সৃষ্টি ‘এই নীল মনিহার’ গানটি দ্বৈতকণ্ঠে পরিবেশন করেন তারা। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল এই দ্বৈত সঙ্গীত। দুজনের কণ্ঠে ‘তুমি আমার প্রথম সকাল’ বেজে ওঠার সাথে সাথে আপ্লুত দর্শকদের করতালিতে ভরে উঠে অনুষ্ঠান।
চারজন বাঙালি তরুণ শিশির (গিটার), সামী (পিয়ানো), সোমনাথ (তবলা) এবং ইশফাক (পারকাসন) বাজনায় এই দুই শিল্পীকে সহোযোগিতা করেছেন।
অনুষ্ঠানের সার্বিক আয়োজন এবং তত্ত্বাবধানে ছিল লেগাটো ম্যানেজমেন্ট। লেগাটো ম্যানেজমেন্টের কর্ণধার সঙ্গীতপ্রেমী সিলভি ইসলাম এবং ইশফাকুল ইসলাম শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিল কলাম্বাসে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশী কিশোরী রাইয়ান এবং নাসরিন শাহানা চাঁদনী। অনুষ্ঠানটির স্থিরচিত্রে ছিলেন খোকন জামান।
বিবার্তা/খোকন/নিশি