এই সময়ের টিভি নাটকে লাক্স তারকা উর্মিলার উপস্থিতি বেশ উজ্জ্বল। এরই মধ্যে তিনি নিজের অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। নির্মাতারাও উর্মিলার কাজের প্রতি আস্থা রাখছেন। গেলো ঈদের নাটকেও তার সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় ছিলো। রইল তার সাক্ষাৎকার।
এখনকার টিভি নাটকে আপনার দারুণ চাহিদা রয়েছে। বিশেষ বিশেষ দিবসের নাটকগুলোতে আপনাকে উজ্জ্বল দেখায়। গেলো ঈদের নাটকের সাড়া কেমন পেয়েছেন?
গেলো ঈদে আমার অভিনীত ১২টি নাটক প্রচার হয়েছে। এতে কাজ করে আমার ভালো লেগেছে এ কারণে যে, প্রতিটি নাটকের কাহিনীই ছিলো চমৎকার। এর মধ্যে রেদওয়ান রনির ‘চলো সবে ডায়েট করি’, শিব্বির আহমেদ মান্নার ‘হারুন মিয়ার খোয়াব’ গৌতম কৈরীর ‘ফড়িং জীবন’, শিহাব শাহীনের ‘মেহমান’, মাহমুদ দিদারের ‘বৃষ্টির রং’ নাটকগুলোর জন্য দর্শকমহল থেকে যথেষ্ট সাড়া পেয়েছি।
নাটকগুলোতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিলো?
আসলে একেকটি নাটকের শুটিংয়ে একেকরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই মুহূর্তে একটি মজার স্মৃতি মনে পড়ছে ‘চলো সবে ডায়েট করি’ নাটকের শুটিংয়ের। নাটকে গল্পের প্রয়োজনে আমি নিজেকে মোটা দেখানোর জন্য ড্রেসের সঙ্গে ফোম পরে শুটিং করেছি। পাশাপাশি আমাকে প্রচুর খেতে হয়েছে। আমি যেমন খেতে পছন্দ করি। সামনে অনেক খাবার পেয়ে লোভ সামলাতে পারছিলাম না। ডায়েট করে ওজন কমিয়েছিলাম। মজার ব্যাপার হলো- এ নাটকে খাবারের শট দিতে গিয়ে খেয়ে খেয়ে আমার ওজন বেড়ে গেছে।
এর বাইরে মাহমুদ দিদারের ‘বৃষ্টির রং’ নাটকটির জন্য আমরা বিরুলিয়ায় নদী পাড়ের একটি মনোরম লোকেশনে শুটিং করেছি। সেখানে গাছের সঙ্গে এটি দোলনা বাঁধা ছিলো। নাটকে দেখা যায় আমি দোলনায় দুলছি। দোলনায় দুলতে দুলতে আমার ছেলেবেলার কথা মনে পড়েছিল।
এরই মধ্যে দুর্গাপূজার একটি নাটকে অভিনয় করেছেন। এর শিরোনাম তো তিথির অতিথি, তাই না?
হ্যাঁ, ঈদের পর দুর্গাপূজার এই টেলিছবিটি দিয়ে আবার কাজে ফিরলাম। এর গল্পটি রহস্যে ঘেরা। এতে দুর্গার সাজেও আমাকে দেখা যাবে। দুষ্টু শক্তির বিনাশ হয় শুভশক্তির কাছে-এটিই টেলিছবিটির মূল বক্তব্য।
এতে আমার চরিত্রের নাম তিথি। টেলিছবিটির কাহিনীতে দেখা যায়, হিন্দু বনেদি পরিবারের মেয়ে তিথি। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকে একমাত্র মামা তার অভিভাবক। মামারও অগাধ সম্পত্তি। কিন্তু মেয়েটির সম্পত্তির প্রতি মামার লোভ আছে। এজন্য তিথির মামা ও তার ম্যানেজার মিলে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে। ভাড়া করা খুনিদের বাড়িতে অতিথি সাজিয়ে আনা হয়। একসময় তাদের মধ্যকার একটি ছেলের সঙ্গেই প্রেমে জড়িয়ে পরে তিথি। এগিয়ে যায় গল্প।
টেলিছবিটির শুটিং হয়েছিলো কোথায়?
সম্প্রতি পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে টেলিছবিটির শুটিং করি। এর রচনা ও পরিচালনায় ছিলেন সুমন ধর। এবারের দুর্গাপূজা উপলক্ষে দশমীর দিন একটি চ্যানেলে প্রচার হবে ‘তিথির অতিথি’। এতে ভাড়াটে খুনির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান। এবারই প্রথম আমরা জুটি হয়ে অভিনয় করেছি।
শুনেছি আপনি গান গাইতে ভালোবাসেন। এটা নিয়ে কি কোনো পরিকল্পনা রয়েছে?
এটা সত্যি যে, আমি গান গাইতে অনেক পছন্দ করি। রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওপর আমি কয়েক বছর তালিমও নিয়েছি। যদি অভিনেত্রী না হতাম, তাহলে হয়তো কণ্ঠশিল্পী হতাম। বাসায় নিয়মিত গান করা হয়। কয়েকটি নাটকে গান গেয়েছি। তবে এই মুহূর্তে গান নিয়ে আমার বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই।
বিবার্তা/অভি/কাফী