সেই প্রাচীন সময়ের নির্বাক চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে আজকের আধুনিক থ্রিডি চলচ্চিত্র পর্যন্ত সমাজের বিকাশের ধারায় বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছে সিনেমা। বলিউডের সিনেমা হোক আর হলিউডের, জীবনের গল্পের চিত্রায়ণে বাস্তবতা থাক আর থাক অতিরঞ্জন, সিনেমা দেখতে ভালোবাসি আমরা সবাই। সিনেমা একটি জাতির সংকৃতিকে রূপ দেয় আবার সিনেমা দেখেই আপনি চিনতে পারেন জাতির সাংস্কৃতিক মান।
আমরা স্মরণ করতে পারি একুশের সিনেমা ‘জীবন থেকে নেয়া’র কথা। আমরা স্মরণ করতে পারি ‘ওরা ১১ জন’, ‘আলোর মিছিল’ এইসব সিনেমার কথা। জাতীয় আন্দোলনে এভাবেই ভূমিকা রেখেছে সিনেমা। কখনো শিশুদের করেছে সৃজনমুখী, কখনো তরুণদের আগ্রহী করেছে রাজনীতিতে। আবার বিশৃংখলার জন্য দায়ী সিনেমাও আছে। ভূতের ভয় দেখিয়েছে সিনেমা। আবার সেই ভূত কীভাবে তাড়াতে হবে তাও দেখিয়েছে। এমনকি ভূত যে অন্ধবিশ্বাস, তাও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে এই সিনেমাই।
আমাদের জীবনে জ্ঞানে-অজ্ঞানে সিনেমার অবদান অনেক। আসুন জেনে নিই, সিনেমা এবং সিনেমাজগতের মানুষদের প্রসঙ্গে মজার কিছু তথ্য।
১। টাইটানিক সিনেমাটি বানাতে যা খরচ হয়েছিল তা টাইটানিক জাহাজ তৈরির খরচের তুলনায় বেশি।
২। নাইজেরিয়া প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি সিনেমা তৈরি করে।
৩। ডেভিড হলমাস, তিনি ডানিয়েল রেডক্লিফের স্টান্ট হেরি পটারের প্রথম ৬টি ছবিতে অভিনয় করেন। কিন্তু সপ্তম সিনেমায় তিনি আর অংশ নিতে পারেননি। কারণ শুটিং চলাকালে দুর্ঘটনায় প্যারালাইজড হয়ে যান তিনি।
৪। মর্গান ফ্রিম্যান একজন বিখ্যাত আমেরিকান অভিনেতা। তিনি ৩৪ বছর পর্যন্ত কোন সিনেমায় আবির্ভূত হতে পারেননি। ৫২ বছর বয়সের আগে কোন বড় চরিত্রই পাননি তিনি। সিনেমা জগতের অনেকেরই রয়েছে এমন কষ্টকর সংগ্রামের কাহিনী।
৫। বারোত ছিল একটি কমেডি সিনেমা, যা তৈরি করা হয়,কাজাকিস্তানকে আরও সুন্দর দিকনির্দেশনা দেয়ার উদ্দেশ্য থেকে। তবে বাস্তবে এটি ছিল ইসরাইলের উপর বড় একটি আঘাত। কারণ, কাজাকিস্তানকে নিয়ে লেখা প্রতিটি লাইন ছিল হিব্রু ভাষার!
৬। অটো ফ্রাঙ্ক অড্রে হেপবার্নকে চিঠি লিখেছিলেন তার মেয়ে আনা ফ্রাঙ্কের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। হেপবার্ন বিনয়ের সাথে প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন। কারণ তার নিজের জীবনের কষ্টভারাক্রান্ত স্মৃতি জড়িত নাৎসিদের সংগে, নেদারল্যান্ডসে। সেই স্মৃতি তার চরিত্রকে আরও চ্যালেঞ্জিং করতে পারে।
৭। জেমস ক্যামেরন যখন টার্মিনেটর সিনেমাটি লেখেন তখন তিনি ছিলেন বাস্তুহারা। তিনি তার স্ক্রিপ্ট বিক্রি করে দেন মাত্র ১ ডলারে, এই শর্তে যে, সিনেমা পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে তাকেই।
৮। প্রথম টাইটানিক সিনেমাটি জাহাজডুবির ১ মাসেরও কম সময়ের মধ্যেই প্রকাশিত হয়। সিনেমাটি এমন একজনকে অভিনেত্রী হিসেবে সামনে নিয়ে আসেন যিনি প্রকৃতপক্ষে টাইটানিক ডুবিতে বেঁচে গিয়েছিলেন।
৯। ওয়াল্ট ডিজনি ষাটের দশকে আলফ্রেড হিচকককে ডিজনিল্যান্ড সিনেমাটি তৈরির অনুমতি দেন নি। কারণটি খুবই হাস্যকর। কারণ হল। হিচকক জঘন্য সিনেমা ‘সাইকো’ নির্মাণ করেছিলেন।
১০। সীন কনারি ২১ বছর বয়স থেকেই টাক হয়ে যাচ্ছিলেন। তাই তিনি তার সব জেমস বন্ড সিনেমাতেই একটি পরচুলা পরিধান করেন।
১১। এত জনপ্রিয় হওয়া স্বত্ত্বেও ব্রাড পিট, জনি ডেপ এবং হ্যারিসন ফোর্ড কখনো অস্কার জেতেননি। এই লিস্টে থাকতেন লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও ও। তবে শেষমেশ এবছর অস্কার জেতেন তিনি।
১২। টার্মিনেটর ২ এ Arnold Schwarzenegger কে ২০,০০০ ডলারেরও বেশি অর্থ প্রদান করা হয়, তার উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের জন্য!
বিবার্তা/জিয়া