পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরপারে চলে গেলেন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক জোবেদা খাতুন। মঙ্গলবার ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬টায় রাজধানীর ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নাল্লিাহি ওয়াইন্নাইলাইহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯৩ বছর।
‘আজাদ প্রোডাক্টস’ কর্তৃক পুরস্কৃত কবি সাহিত্যিক জোবেদা খাতুন দেশের একজন ‘রত্নগর্ভা মা’। সম্পর্কে তিনি দেশের প্রতিথযশা কন্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরের নানী। নানীর মৃত্যুতে অনেকটাই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন আঁখি। কারণ নানীর সাথে তার ছোটবেলা থেকেই খুব সখ্যতা ছিলো।
আঁখি আলমগীর বলেন, ‘এটা সত্যি যে নানীর অনেক বয়স হয়েছিলো। বার্ধক্য জনিত নানান সমস্যাও ছিলো। কিন্তু নানীর চিকিৎসার দিক দিয়ে কোন গাফিলতি ছিল না। আমরা শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করেছি নানীকে সুস্থভাবে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনার। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। নানীর মৃত্যু আমাকে মানসিকভাবে অনেক কষ্ট দিচ্ছে। সবার কাছে দোয়া চাই আল্লাহ যেন নানীকে বেহেস্ত নসীব করেন।’
এদিকে হাসাপাতাল সূত্রে জানা যায়, কবি জোবেদা খাতুন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি বয়স জনিত কারণে ‘মাল্টিঅর্গান ডিসফাংশন’ ছিলো। হাসপাতালের উন্নত চিকিৎসাতেও শেষ রক্ষা হলো না তার। জোবেদা খাতুনের চার মেয়ে এক ছেলে। দেশের বাইরে অনেকেই অবস্থান করায় জোবেদা খাতুনের মরদহে আইসিডিডিআরবি’র মর্গে রাখা হয়েছে। তার সন্তানেরা দেশে ফিরলেই তাকে দাফন করা হবে।
জানা গেছে রাজধানীতেই তার দাফন সম্পন্ন হবে। তবে কবে দাফন করা হবে তা পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জোবেদা খাতুনের বড় মেয়ে ডা. খোদেজা। মেজ মেয়ে অধ্যাপক খালেতুন, একমাত্র ছেলে জাহাঙ্গীর মির্জা বিশিষ্ট তবলা বাদক। চতুর্থ সন্তান আঁখি আলমগীরের মা কবি খোশনূর বেগম এবং ছোট মেয়ে বিনু আহমেদ একজন কন্ঠশিল্পী।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি