সাত দশক ধরে নিজের কণ্ঠ দিয়ে উপমহাদেশের মানুষদের জাদু করে রেখেছেন ভারতের সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর৷ আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সঙ্গীত জগতের এই জীবন্ত কিংবদন্তীর ৮৭ তম জন্মদিন। এই লিভিং লেজেন্ড সম্পর্কে অনেক কথা প্রকাশ্যে এলেও, এখনো অনেক কথা অজানাই রয়ে গেছে। জন্মদিনে জেনে নিন সুরসম্রাজ্ঞী সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।
> লতা মঙ্গেশকরের আসল নাম হেমা। তার বাবা পন্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকর ছিলেন থিয়েটার অ্যাক্টর ও ক্লাসিকাল সিঙ্গার। তার একটি নাটক ভাও বন্ধনের প্রধান চরিত্র লতিকা থেকে লতা নামটি আসে।
> কোনওদিন স্কুলে না যাওয়া লতার অক্ষর পরিচয় হয়েছিল বাড়ির পরিচারকের কাছে। তারপর গোটা জীবনে স্বশিক্ষিত তিনি।
> লাস ভেগাস লতার পছন্দের হলিডে ডেস্টিনেশন। কাজ থেকে ছুটি নিয়ে প্রায়ই ওখানে বেড়াতে যান তিনি।
> প্লেনে চড়তে বরাবরই খুব ভয় লতার। নিতান্তই প্লেনে উঠলে জার্নির পুরো সময়টাই নাকি চোখ বন্ধ করে ঈশ্বরকে স্মরণ করেন।
> ‘লতা ইয়ায়ু দ্য পারফিউম’ নামে একটি সুগন্ধী লতার পছন্দের পরই তুমুল জনপ্রিয় হয়। ৭৮-রকমের গন্ধের মিশ্রণ রয়েছে এতে।
> কেরিয়ারের শুরুতে কাজ পাননি লতা। তখন ছিল নুর জাহান, শমশাদ বেগমদের সময়। তাঁদের কাছে লতাজির কণ্ঠ পাত্তাই পায়নি। সরু গলার দোহাই দিয়ে তাঁকে বলিউড থেকে একপ্রকার বের করে দেয়া হয়।
> গানের পর লতার পছন্দের বিষয় ক্রিকেট। একসময় নিয়ম করেই ভারতের ম্যাচ দেখতেন তিনি।
> হালকা গরম পানিতে দিন শুরু করেন লতা। গাজরের হালুয়া, সি-ফুড, স্পাইসি ফুড তাঁর পছন্দের। তবে সবথেকে ভালবাসেন আম খেতে।
> ঠাণ্ডা পানি, দই আর যে কোনও টক খাবার সবসময় এড়িয়ে চলেন লতা।
> বিউটি পার্লারে যেতে একদম পছন্দ করেন না লতা। এখনও পর্যন্ত মাত্র একবার চুল ট্রিম করতে এবঁ আইব্রো করতে তাঁকে পার্লারে যেতে হয়েছিল ‘পহেলি মঙ্গলাগাউর’-ছবির সময়। বিউটি পার্লার থেকে বেরিয়ে নিজেকে আয়নায় দেখে নাকি একেবারে ভেঙে পড়েন তিনি।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি