মিডিয়াতে ডায়নার পথচলা প্রায় নয় বছর হতে চললো। এই দীর্ঘ পথ চলায় তিনি তিনটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে খিঁজির হায়াত খানের ‘জাগো’, নাসির উদ্দিন ইউসুফের ‘গেরিলা’ এবং সাইফ চন্দনের ‘ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল’।
এরপর আর নতুন কোনো চলচ্চিত্রে তাকে দেখা যায়নি। তবে এই মুহূর্তে নতুন দুটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন ডায়না। একটি সৈয়দ শাকিলের ‘শান্তি অধিদপ্তর’ ও অন্যটি এজাজ মুন্নার ‘আস্থা’। দুটি ধারাবাহিকে ডায়না দুটি ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন। ‘শান্তি অধিদপ্তর’ প্রচার হচ্ছে আরটিভিতে এবং ‘আস্থা’ প্রচার হচ্ছে এনটিভিতে।
দুটি ধারাবাহিকে অভিনয় প্রসঙ্গে ডায়না বলেন, দুটি ধারাবাহিকের গল্প, চরিত্র এবং নির্মাণশৈলী এরইমধ্যে দর্শকের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। আমিও দুটি ধারাবাহিকে অভিনয়ের জন্য বেশ ভালোই সাড়া পাচ্ছি। শাকিল ভাই, মুন্না ভাই দুজনের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ আমাকে ভালো দুটি চরিত্রে আমাকে সম্পৃক্ত করার জন্য। মাঝে অভিনয়ে আমি কিছুটা অনিয়মিত ছিলাম। কিন্তু এখন আবার অভিনয়ে বেশ ভালো ব্যস্ত হয়ে উঠেছি। অভিনয় আমার ভালোলাগার জায়গা। যে কারণে এখানে কাজ করলে মনের ভেতর শান্তি কাজ করে।
‘নেসক্যাফে’র বিলবোর্ডে প্রথম মডেল হিসেবে কাজ করেন ডায়না। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ডায়নার লক্ষ্য ছিলো শুধু মডেল হিসেবে কাজ করা। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় তার সেই লক্ষ্যে কিছুটা হলেও পরিবর্তন এসেছে। এখন তিনি নিজেকে একজন ভালো অভিনেত্রী হিসেবেই গড়ে তুলতে চান।
সালাহ উদ্দিন লাভলুর নির্দেশনায় ‘আলতা সুন্দরী’ নাটকে মাসুমা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ডায়না। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য এখনো সাড়া পান তিনি। সাইদুল আনাম টুটুলের ‘রাক্ষসী’ এবং চোরাই ধন’ ধ দুটিও তার অভিনীত আলোচিত নাটক। শিহাব শাহীনের ‘মুম্বাসা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেও বেশ প্রশংসিত হন তিনি।
বিরতির পর তিনটি নতুন বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন ডায়না। বিজ্ঞাপন তিনটি হচ্ছে আরএফএল ডোর, আরএফএল চপিং উড ও এসএমসি।
বিবার্তা/অভি/কাফী