গত ৩ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক রিয়াজ তার মাকে হারান। যশোরে নিজ গ্রামে রিয়াজ তার মাকে দাফন করেন। এরপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি গত ৮ সেপ্টেম্বর ঈদ উদযাপন করতে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এডিলেট-এ যান। সেখানে ঈদ উদযাপন করার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান রিয়াজ। দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় সেখানে থাকার পর দু’দিন আগে দেশে ফিরেছেন তিনি। দেশে ফিরেই কাজের পরিকল্পনা শুরু করেছেন রিয়াজ।
রিয়াজ বলেন, ‘যেহেতু আমি অভিনেতা তাই অভিনয়ের বাইরে বিকল্প কিছু করার কোনো পরিকল্পনা নেই। তাই অক্টোবর মাসেই আবারো কাজে ফিরবো। এরইমধ্যে কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে আমার কথাও হয়েছে। সবই খুব দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে।’
রিয়াজ আরো জানান, সিনেমাতেও কাজ করার ব্যাপারে কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে আলাপ চলছে তার। ব্যাটে বলে মিলে গেলে আবারো সিনেমায় অভিনয় করবেন তিনি।
এদিকে গেলো ঈদে নতুন কোনো নাটক-টেলিফিল্মে রিয়াজকে দেখা যায়নি। যেদিন নতুন একটি নাটকের শুটিং করার কথা ছিলো সেদিনই তার মা তাকে ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান। এরপর আর কাজ করার সময়ও ছিলো না তার। চলে যান অস্ট্রেলিয়া। তবে গত ঈদে বাংলাভিশনে কবরী নির্দেশিত এর আগের ঈদে নির্মিত ‘ভালো থেকো’ নাটকটি বাংলাভিশনে প্রচার হয়। এটি রচনা করেন আকাশ রঞ্জন। এতে রিয়াজের বিপরীতে অভিনয় করেন সুমাইয়া শিমু। খণ্ড নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয় করলেও রিয়াজের কোনো আগ্রহ নেই ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করার।
রিয়াজ বলেন, ‘ধারাবাহিকে কাজ করার কোনো ইচ্ছে নেই। এর বিশেষ কোনো কারণ নেই। আমি খণ্ড নাটক এবং টেলিফিল্মে কাজ করইে সন্তুষ্ট। এর বাইরে যেতে চাইনা।’
গত ঈদে নাটকে কাজ করার কারণ হচ্ছে তিনি চ্যানেল আইয়ে প্রচার চলতি রিয়েলিটি শো ‘ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম’র বিচারক হিসেবে ব্যস্ত ছিলেন। পাশাপাশি ‘লাগ ভেলকি লাখ’ নামের একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন।
চিত্রনায়ক রিয়াজ এখন পর্যন্ত তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। হুমায়ূন আহমেদ’র ‘দুই দুয়ারী’, তৌকীর আহমেদ’র ‘দারুচিনি দ্বীপ’ এবং চন্দন চৌধুরীর ‘কী যাদু করিলা’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। রিয়াজ অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে- দেওয়ান নজরুলের ‘বাংলার নায়ক’, মহম্মদ হান্নানের ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, জাকির হোসেন রাজুর ‘এ জীবন তোমার আমার’, ‘ভালোবাসা কারে কয়’, মতিউর রহমান পানুর ‘মনের মাঝে তুমি’, গাজী মাহবুবের ‘প্রেমের তাজমহল’, এস এ হক অলিকের ‘হৃদয়ের কথা’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘শাস্তি’, মোরশেদুল ইসলামের ‘খেলাঘর’, কোহিনূর আক্তার সূচন্দার ‘হাজার বছর ধরে’।
বিবার্তা/অভি/রয়েল