শহীদুল্লাহ হল এক্সটেনশনের পেছন দিকের বঙ্গবাজারগামী রাস্তাটা ধরে এগুলো একে একে পড়বে এশিয়াটিক সোসাইটি, একুশে হল, আনোয়ার পাশা ভবন ও শহীদ আবুল খায়ের ভবন, বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি, ফজলুল হক হলের এক্সটেনশন।
রাস্তার বামের পুরো এলাকাটাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। কেবল এশিয়াটিক সোসাইটি ও পুলিশ ফাঁড়িটা অ-বিশ্ববিদ্যালয়ী। সন্দেহ নেই, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই বিভিন্ন সময়ে এই দুই প্রতিষ্ঠানকে জমি দিয়েছে ব্যবহারের জন্য। কবে কীভাবে কোন শর্তে ব্যবহার করতে দিয়েছে, তা অবশ্য অনুসন্ধানসাপেক্ষ।
বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়িতে ছিল বিশাল সব রেইন ট্রি। পুলিশ ফাঁড়ির পেছনের ১২তলা অপেক্ষাকৃত নতুন আবুল খায়ের ভবনের প্রায় ৬/৭ তলা পর্যন্ত এই রেইন ট্রিগুলো ছায়া দিত। এফএইচ হলের এক্সটেনশনের শিক্ষার্থীরাও এই ছায়াতলে বসবাস করতো। উচ্চতা দেখেই অনুভব হতো, যেন শতবর্ষী বৃক্ষ।
সেইসব বৃক্ষের মধ্যে তিনটিকে গতকাল কেটে ফেলা হয়েছে। হঠাৎ ছায়া হারিয়ে আবুল খায়ের ভবনের শিক্ষকেরা খোঁজ নিতে গেলেন ফাঁড়িতে।
জানা গেল, এখানে নাকি ২২ তলা পুলিশ ভবন হবে, এজন্য এই বৃক্ষ কর্তন। প্রশ্ন হলো, এত পুরনো গাছ কার অনুমতিক্রমে কাটা হলো (আইনে আছে শতবর্ষী গাছ কাটতে হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে)?
বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি ছাড়া কীভাবে এত বড় ভবন নির্মাণের অনুমতি দেয়া হলো? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে নীলক্ষেত আর বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ির আদৌ কোনো প্রয়োজন আছে কি (নীলক্ষেত ফাঁড়ির পাশেই নিউমার্কেট থানা স্থানান্তরিত হয়েছে কয়েক বছর হলো)? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে?
ফাহমিদুল হকের ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/ফারিজ