সৈকত তো নয়, যেন মরণফাঁদ...

সৈকত তো নয়, যেন মরণফাঁদ...
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৬:৪০:৫৮
সৈকত তো নয়, যেন মরণফাঁদ...
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+
সাগর আর পাহাড়ঘেরা সৌন্দর্যের লীলাভূমি বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা। প্রকৃতিকে খুব নিবিড়ভাবে দেখতে হলে এবং তার রূপ উপভোগ করতে হলে চট্টগ্রামে যেতে  হবেই।
 
মাসব্যাপী বেড়ানোর মতো  অনেক জায়গা এখানে রয়েছে। এর অন্যতম পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত।
 
চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ প্রান্তে, চট্টগ্রাম বন্দর ফেলে কিছুদূর এগোলেই এর অবস্থান।  কক্সবাজার ও কুয়াকাটার মতো দীর্ঘ ও প্রশস্ত না হলেও এর সৌন্দর্য কোনো অংশেই কম নয়। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন।
 
শহররক্ষা বাঁধ থেকে খানিকটা নিচের দিকে নামলেই সমুদ্রের দেখা মেলে। যতদূর দৃষ্টি যায় জলরাশি আর জলরাশি। বিশাল বিশাল ঢেউ কূলে আছড়ে পড়ছে। ছোট-বড় অনেক জাহাজও দেখা যায় দূরে। মনে হয় যেন ঝাঁকে ঝাঁকে গাঙচিল ভাসছে। আকাশ আর সাগর মিলিমিশে একাকার। অন্যদিকে সবুজের সমারোহ। আহ্, কী অপরূপ দৃশ্য!
সৈকত তো নয়, যেন মরণফাঁদ...
তবে, চাঁদের রূপ যেমন আছে কলঙ্ক আছে, তেমনি পতেঙ্গা সৈকতেরও কলঙ্ক আছে।
 
সমুদ্রের ভাঙ্গন থেকে শহররক্ষা বাঁধ রক্ষার্থে সৈকতে কংক্রিটের বড় বড় ব্লক ফেলা হয়েছে। ব্লকগুলোর মাঝে যে পরিমাণ ফাঁকা আছে তা একজন মানুষ নিচে পানিতে পড়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। এ যেন মরণফাঁদ।  একটু অসচেতন হলেই সোজা গর্তে।
 
অথচ সবাই চায় সমুদ্রের জলরাশির কাছাকাছি যেতে। বিশেষ করে শিশুরা পানি ছুঁতে চায়। সাগরের কাছাকাছি গিয়ে গায়ে যদি লোনাজল না-ই মাখা যায় তাহলে অতৃপ্তি তো  থাকবেই। এটা করতে গেলেই যে কোনো সময় ঘটতে পারে বিপত্তি।
 
কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকলে এ সমস্যার সমাধান অবশ্যই করা যায়। কেবল ইচ্ছা থাকলেই ফাঁকা জায়গাগুলোতে ছোট ছোট ব্লক বসিয়ে পর্যটকদের সমুদ্রদর্শন আরো একটু নিরাপদ করা যায়।
 
আশা করি, এ মহৎ কাজটি করার সাধ ও সাধ্য দু'টোই কর্তৃপক্ষের আছে। 
 
আফরোজা খানমের ফেসবুক থেকে
 
বিবার্তা/মৌসুমী
 
 
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com