"জাতিসংঘের অযাচিত হস্তক্ষেপে আমি সত্যি ক্ষুব্ধ। সময় এসেছে ভেবে দেখার যে যুদ্ধাপরাধীদের টাকার লবিংয়ে জাতিসংঘ শামিল হয়েছে কিনা ? তাদের অর্বাচীনসুলভ বক্তব্য স্বভাবত কিছু প্রশ্নের উদ্রেক করে।
১. যুদ্ধাপরাধীর বিচারচলাকালীন বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে অনেকের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে কিন্তু রহস্যজনক ভাবে সেই সব মৃত্যুদণ্ড এর বিপক্ষে কথা না বলে তাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু কেন যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড?
২ .এখন পর্যন্ত ইউরোপ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৯০ বছর ঊর্ধ্ব লোকের বিচার করা হয় তখন তাদের এই সদা জাগ্রত বিবেককে কি দিয়ে ঘুম পারিয়ে রাখে ? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিচারে দণ্ডিত ব্যক্তিদের আপীলের সুযোগ পর্যন্ত না দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে কতগুলো নিন্দা প্রস্তাব জাতিসংঘ পাশ করেছে ?
৩ .জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য’র দেশগুলোতে যখন প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদ করা হয় তখন জাতিসংঘ তাদের বিরুদ্ধে কেন অবস্থান নিচ্ছে না ?
সর্বোপরি আমি বিশ্বাস করি, জাতিসংঘের এইসব পক্ষপাতদুষ্ট বক্তব্য আমাদের বিচারে কখনো প্রভাব ফেলেনি, আগামিতেও ফেলবে না। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী বান কি মুন অথবা জন কেরির অযাচিত হস্তক্ষেপকে অবজ্ঞা করে ন্যায় বিচারের পথে এগিয়ে যেতে পারেন। সেই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকরকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না " । তুরিন আফরোজের ফেসবুক থেকে...
বিবার্তা/ এমহোসেন