জগতের সবচেয়ে রহস্যময় জিনিস মৃত্যু

জগতের সবচেয়ে রহস্যময় জিনিস মৃত্যু
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০১৬, ১৩:১৪:২৮
জগতের সবচেয়ে রহস্যময় জিনিস মৃত্যু
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+
মৃত্যু????? হ্যাঁ, আল্লাহ আমাদের মাঝে মৃত্যুকে নির্ধারণ করেছেন তাই প্রতিদিন মৃত্যুর জন্য প্রস্তত থাকুন"......।। আজ আবার কিছু লিখতে মন চাইল তাই বসলাম। কারণ কিছু মৃত্যু আমাকে মাঝে মাঝে থামিয়ে দেয়। কোনো কিছু আর ভাল লাগে না। মনে হয় মৃত্যু এতটা সহজ এর থেকে সহজ আর কিছু নেই। এক মিনিটে একটা মানুষ তাঁর সব কিছু থেকে লাশ এ পরিণত হয়। তাঁর নিজের গড়া ঘরে তাকে আর উঠানো হয় না, তাঁর জায়গা হয় সে বাড়ির উঠোনে বা বাড়ির বাইরে। আর কোনো কিছু হারাবার ভয় তাঁর থাকে না। এই এত সুন্দর শরীর কিছুক্ষণ দেরি হলে পচন ধরে, কি আশ্চর্য তাই না????
 
আমরা কী ভাবি, কী করছি কতটূকু করছি, কী ভূল হচ্ছে কী ঠিক হচ্ছে। যদিও সব সময় আমরা হয়তো চেষ্টা করি ভালটা করতে, কারণ পরকালকে আমরা নিশ্চয়ই এ কালের থেকে বেশি ভয় পাই। এরপরও হয়তো ভুল রয়ে যায়।
মৃত্যু সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের বাণীঃ
 
‍‘মৃত্যুর লক্ষ্য হলো সবাইকে আল্লাহতায়ালার কাছে ফিরিয়ে নেয়া এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।’
 
“তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই, যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরও অবস্থান করো, তবুও।”
 
একদিন আমাদের সবাইকে পৃথিবী নামের এই রঙ্গমঞ্চ থেকে চলে যেতে হবে। এই পৃথিবীতে কেউ সারাজীবন বেঁচে থাকবে না। এই সাজানো ঘর, কষ্ট করে অর্জন করা সার্টিফিকেট, নাম, খ্যাতি, সব ফেলে এক মুহূর্তে চলে যেতে হবে পরপারে, যা আমাদের আসল ঠিকানা। আমরা প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য কতইনা সংগ্রাম করছি। কিন্ত একদিন মৃত্যু সবাইকে গ্রাস করবে তাই প্রতিদিন মৃত্যুর জন্য প্রস্তত থাকতে হবে। আর কবরই হবে কিয়ামত পর্যন্ত মুসলমানদের আগামী দিনের বাড়ী। মনে করতে হবে আজকের নামাযই শেষ নামায, আজকের দিনই শেষ দিন। আর প্রতিদিন মৃত্যুকে স্বরণ করতে হবে। সাথে অর্জন করতে হবে পরকালের ধন সম্পত্তি। নিজেকে তৈরি করতে হবে পরকালের যোগ্য।
 
কারণ যখন মু’মিন-বিশ্বাসী বান্দার আত্না বেরোয় তখন ওর সাথে দু’জন ফেরেশতা দেখা করে এবং তা নিয়ে দু’জনই ঊর্ধ্বে চলে যান। তারপর এর সুগন্ধির কথা উল্লেখ করা হয়। আসমান বাসিগণ বলেন, “পৃথিবী থেকে একটি পবিত্র রূহের আগমন ঘটেছে। হে রূহ! তোমার প্রতি এবং যে দেহ তুমি আবাদ করছিলে, তার প্রতি আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক।” একজন ফেরেশতা তাকে নিয়ে তার প্রতিপালকের কাছে চলে যান। তারপর তিনি বলেন, “তাকে শেষ সময়ের জন্য নিয়ে যাও।” অন্যদিকে কাফিরের আত্না যখন বেরোয়, তখন এর দুর্গন্ধ ও অপবিত্রতার কথা উল্লেখ করা হয়। আসমান বাসিগণ বলেন, “পৃথিবী থেকে একটি অপবিত্র আত্নার আগমণ ঘটেছে আর এর সম্বন্ধে বলা হয়-“ একে শেষ সময় পর্যন্ত রাখবার জন্য নিয়ে যাও অর্থাৎ শেষ সময় পর্যন্ত তার শান্তি মেলে না।”
 
জগতের সবচেয়ে রহস্যময় জিনিস আমার মনে হয় মৃত্যু। মৃত্যুর পরের জিনিস নিয়ে মানুষের কত কৌতুহল। তারপর কী আছে ?
 
সবজাতির মধ্যেই মৃত্যুর পর একটা আলাদা জগৎ কল্পনা করা আছে। কিন্তু কী আছে আমরা কেউ জানি না। তাই আগ্রহটা একটু বেশিই। মৃত্যুর পর বেহেস্ত / স্বর্গ , দোজখ / নরক। পুণ্য আর পাপের-বিচার নানা চিন্তা সব জাতির মানুষের মধ্যেই আছে। কতটা সত্য বা মিথ্যা তার বিচার করার কোনো উপায় নেই। একমাত্র তিনিই এর প্রমাণ দিতে পারেন যিনি ওখানে গিয়েছেন। কিন্তু কেউই তো সেটা করতে পারেন না । তাই কল্পনার আশ্রয়, বাকীটুকু আমাদের অনুভূতি এক এক জনের কাছে এক এক রকম।
 
আমারও কিছু অনুভূতি আছে। কোনোভাবেই তাকে প্রমাণ বলা যাবে না। আসলে খুব কাছের মানুষকে না হারালে এই অনুভূতিগুলো আসা মুশকিল। আমি হারিয়েছি আমার সব থেকে প্রিয় কাছের মানুষগুলোকে যা আর ফেরত পাব না। তাদের স্মৃতিই আমার সান্তনার অবলম্বন। তারপরও সব করছি কিছু কিন্তু আটকে নেই। তবে হ্যাঁ চেষ্টা করি ভালটা করতে, জানি না কতোটুকু, সেটা ওই উনি উপর ওয়ালা জানেন।
 
বন্ধুরা একটা অনুরোধ সবার কাছে, সব কিছুর সাথে এটা খেয়াল রাখবে, কারো উপকার করতে না পারো, তোমার দ্বারা বা তোমার কারণে যেন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তোমার কথায় বা কাজে কারো মনে যেনো কষ্ট না হয়। আর আমার হয়তো ভূল হতেই পারে, আমার সেই ভুলগুলো ক্ষমার চোখে দেখো। আজকের জন্যে বিদায়, ভালো থেকো সবাই............।।
 
রুখসানা সোমা’র ফেসবুক থেকে
 
বিবার্তা/মহসিন
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com