দৈনিক আজকের পত্রিকা আগামীকালও প্রকাশ হচ্ছে না। ১ বৈশাখের ছুটির পর আজ (১৩ এপ্রিল) পত্রিকার কার্যালয় খুললেও কর্মরতরা আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। বকেয়া বেতন-ভাতা না দেয়ায় ১৩ এপ্রিল থেকে তাঁরা পত্রিকাটি প্রকাশে বাধা দিচ্ছেন।
পত্রিকাটিতে কর্মরত বেশ কয়েক 'পবিত্র মিথ্যুক সাংবাদিক, কর্মচারী'কে চিনি, জানি।
সকালে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় তাঁদের সন্তান, পরিবারের অন্যরা আবদার করেন, ফেরার সময় 'এটা-সেটা' নিয়ে এসো। রাতে ঘরে ফেরার সময় তাঁদের পক্ষে তা কিনে নেয়া সম্ভব হয় না। সন্তান, অন্যদের প্রশ্নের জবাবে তখন মিথ্যে বলতে হয়-'দুঃখিত, মনে ছিলো না। কাল আনবো।' আসলে মনে থাকে, অভাব টাকার। কারণ, আজকের পত্রিকার মালিক দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে সাংবাদিক, কর্মচারীদের বেতন দিচ্ছেন না।
সন্তান, প্রিয়জনদের চাহিদা, আবদার মেটাতে না পেরে যে মিথ্যে বলতে হয়, সেটা সবচেয়ে 'পবিত্র মিথ্যে'! কী অসহায় অবস্থায় পৌঁছালে মানুষ এ মিথ্যে বলেন, তা আমরা জানি। যাদের চোখে স্বপ্ন এঁকে আমরা বেঁচে থাকার গান গাই, তাদের সঙ্গে মিথ্যে বলার কষ্টকে ভাষায় প্রকাশ করার মতো কোনো ভাষা পৃথিবীতে আছে কি?
পত্রিকা প্রকাশ করাটা কি খড়িমাটি দিয়ে শিশুদের স্লেটে অ আ ক খ লিখে বর্ণমালা শেখার মতো? ইচ্ছে হলো লিখলাম, আবার মুছে ফেললাম! ইচ্ছে হলো পত্রিকা প্রকাশ করলাম, কাজ হাসিল হয়েছে, এবার বন্ধ করে দিলাম! পত্রিকা প্রকাশ, হুটহাট করে প্রকাশনা ও বেতন বন্ধ করে দেয়ায় মালিককে আইনের মুখোমুখি করার আইন থাকলে কি খুব অযৌক্তিক কিছু হবে?
হাসান শান্তুনুর ফেসবুক থেকে