চারমাস আগে তুরস্ক থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফেরে চার তরুণ, যাদের মধ্যে নিব্রাস অন্যতম। তারা সবাই ভ্রমণ ভিসায় তুরস্ক গিয়েছিলো। তাদের ব্যাপারে আগে থেকেই উগ্রবাদী নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ থাকলেও তাদের তুরস্কের ভিসা পেতে কিন্তু কোন অসুবিধা হয়নি।
আর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অর্থাৎ জামাতিদের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেয়। তাহলে কি আমরা বলতে পারি না যে এই জঙ্গিদের পেছনে তুরস্কের সরাসরি হাত আছে!! এরদোয়ানের সরকারই জামাতের প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্যে সরাসরি সবধরণের সহায়তা দিয়েছে। আর এ থেকে এটাও প্রমাণিত হয় আসলে আইএস এর নামে জঙ্গিবাদ করছে বিএনপি-জামাত। তাদের উদ্দেশ্যও স্পষ্ট, দেশে জঙ্গিবাদের নামে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো।
দেশবিরোধীরা তো ষড়যন্ত্র করবেই, কিন্তু আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু কিছু জায়গায় দূর্বলতা রয়েই গেছে। আর এয়ারপোর্ট এ তাদেরকে আটক করার পর দ্রুততম সময়ে জামিনে মুক্তি পাওয়া আমাদের বিচারব্যবস্থার দূর্বলতা প্রকাশ করে। এই ব্যাপারে আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে।
আমার মনে হয় জঙ্গিবাদ দমনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশকে আরো আধুনিকায়িত, শক্তিশালী, এফেক্টিভ করার লক্ষ্যে জনবল বাড়ানোসহ ঢেলে সাজানো। একইসাথে তাদের সাথে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে তাদের অভ্যন্তরীণ তথ্য বিনিময় প্রক্রিয়া আরো বেশি দ্রুত এবং কার্যকর করতে হবে।
দেশটা কিন্তু আপনার, আমার, সবার।
গুটিকয়েক বিপথগামী, মানসিকভাবে অসুস্থ সন্ত্রাসীদের কাছে ১৭ কোটি বাঙ্গালী জিম্মি থাকতে পারে না। সম্মিলিত প্রতিরোধই পারবে আমাদের দেশটাকে জঙ্গিবাদের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করতে।
আশিকুল পাঠান সেতুর ফেসবুক থেকে. . .
বিবার্তা/ইফতি