যে ছাত্র জীবনের খাতা থেকেই বিদায় নিতে চায়, তারে আপনি ছাত্রের খাতা থেকে নাম কাটা যাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন? অন্য জায়গায় হাত দেন।
এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজে নজর দেন, স্টুডেন্টদের মানসিক স্বাস্থ্য মনিটর করেন, ডিসফাংশনাল ফ্যামিলি তো আর আপনারা ঠিক করতে পারবেন না, অ্যাট লিস্ট অবসাদগ্রস্ত ছাত্র দেখলে প্যারেন্টসদের ডাকেন, সবচেয়ে বড় কথা ফ্যাকাল্টি ব্যাকগ্রাউন্ড মনিটর করেন রেগুলার, দেখেন ফ্যাকাল্টিতে মুরগী ধরার অপেক্ষায় কোনো শিয়াল মামা আছেন কিনা। পাশাপাশি প্রিয় ভাই ও বোনেরা, ঢালাওভাবে এনএসইউ নিয়া পঁচানোটাও বন্ধ করেন।
শেষ কথা, সমাজ সংসার থেকে শ্রেষ্ঠত্বের বাতিক বাদ দেন। আমার ধর্ম তোমার ধর্মের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, আমার রাজনৈতিক মত শ্রেষ্ঠ আর তোমার নিকৃষ্ট, আমি অগ্রসর আর তুমি প্রাগৈতিহাসিক, আমি মহান আর তুমি কিটের অধিক কিট- এই সব অসুস্থ চিন্তা মন থেকে মোছেন। আপনার ছেলে মেয়েকে কিংবা ভাই বোনকে বৈচিত্র্য ভালো না বাসুক, শ্রদ্ধা করতে শিখান। না হইলে সামনে সমূহ বিপদ। সে আপনি ডান বাম যে ক্যাম্পেরই হোন না কেন!
মোস্তফা সারোয়ার ফারুকীর ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/রয়েল