বই পড়ার অভ্যাস'টা ছিল মজ্জাগত। আমার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া । এখন আর বই পড়তে ইচ্ছে করে না । যেসব বই হাতের কাছে পাই তা পড়তে বসলেও ১/২ পৃষ্ঠা, অনেক ক্ষেত্রে ১/২ প্যারার মধ্যেই ইচ্ছা খতম হয়ে যায় ।
মনে পড়ে,
রবীন্দ্র, শরৎ কিংবা সত্যজিৎ পড়তে বসলে ঢুলু ঢুলু চোখ নিয়ে বইয়ের পাতায় তাকিয়ে থাকতাম। শেষ না করে উঠতে পারতাম না। এক বই পড়তে পড়তে মুখস্ত করে ফেলতাম ।
কখনো রবীন্দ্রনাথের অমিতের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করতাম, কখনো নিজেকে ভাবতাম শরৎ বাবু'র ব্যর্থ প্রেমিক দেবদাস। শ্রীকান্ত অথবা ইন্দ্রজিৎ এর মতো ডানপিটে হবার স্বপ্ন দেখতাম। সত্যজিতের অপু'র মতো দুরন্ত শৈশবকে খুঁজে বেড়িয়েছি।
হালের আহমদ সফা'র অনবদ্য সব সৃষ্টি কিংবা হুমায়ুন আহমেদ এর হিমু কিংবা মিসির আলী হবার স্বপ্নগুলো কিন্তু তরুণদেরকে আন্দোলিত করেছে।এক অন্যরকম নেশার মধ্যে ডুবিয়ে রেখেছে।
কবি নজরুলের রক্ত গরম করা সব সৃষ্টি পরে কখনো কখনো নিজেকে বঙ্গবন্ধু কিংবা চে গুয়েভারা বানানোর স্বপ্নে বিভোর থাকতাম।
এখনকার প্রজন্ম বই পড়েনা। নতুন কোনো ভালো সৃষ্টি না থাকলে আসুন পুরোনো গুলোই পড়ি। বই চির যৌবনা...
আসুন বই পড়ে বিপ্লবী, বিদ্রোহী কিংবা ব্যর্থ প্রেমিক হই।
তবু,
আইএস হবার স্বপ্ন না দেখি, যেই স্বপ্ন আপনাকে আমাকেসহ পুরো জাতিকে ধ্বংস করে দিবে।
আশরাফুল আলম খোকনের ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/মৌসুমী