বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয় উপমহাদেশের ইতিহাসে এক সংগ্রামী উপাখ্যান । কূটনৈতিক বুদ্ধিমত্তা, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দিকনির্দেশনা প্রদান, তরুণ প্রজন্মকে উদ্দীপ্ত করে একটি দেশকে স্বাধীন করা কোনো সহজ কাজ নয়। আর সেই রাষ্ট্রনায়কের সপরিবারে হত্যাকাণ্ড একটি জাতির জন্য অভিশাপ !
৪৬ বছর বয়সী এই বাংলাদেশের সাথে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড জাতির জন্য একটা বিয়োগান্ত ঘটনাই নয়, জাতিকে বিশ্বের দরবারে বেঈমান হিসেবে পরিচিত করাও ছিলো ঘাতকদের উদ্দেশ্য।
বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাঙালি, যিনি জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের নতুন ভাবমূর্তি তৈরি করেছিলেন তিনি। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সবাইকে হত্যার মাধ্যমে এই দেশ ও জাতির সাথে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়নি! আজ অবধি স্বাধীন দেশে যত প্রকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তা বঙ্গবন্ধুর দেশ পরিচালনার তিন বছর সময়কালের রূপকল্পের ছক! স্বপ্নের পদ্মাসেতু বঙ্গবন্ধুরই স্বপ্ন ছিলো।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলো ঠিকই, কিন্তু বিকৃত করতে সক্ষম হয়নি। সচেতন তরুণ প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের মহানায়ককে নতুন করে পরিচিত করে তুলছে এই আগস্ট মাস আর কারা ইতিহাসের কলংকিত খলনায়ক।
শান্তিপ্রিয় বাঙ্গালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধুই নন, তিনি বাংলাদেশের স্থপতি এবং বাঙ্গালির উন্নয়নের আধুনিক পরিকল্পনা প্রণেতা। তাই আগস্ট শোক নয়, আগস্ট আমাদের ঘুরে দাঁড়াবার অঙ্গীকার, আমাদের শক্তি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জয়লাভের।
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ সকল পরিবারবর্গকে। কোটি হৃদয়ে তুমি অম্লান অবিনশ্বর হে পিতা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু!
ফারজানা আকতার সুপর্ণার ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/মৌসুমী/হুমায়ুন