কথাগুলো আমি সদা বলি ও অন্তঃপ্রাণ বিশ্বাস করি, কারো উপকার করলে তার উত্তম প্রতিদান আল্লাহ্ অবশ্যই দেবেন। কোনো অসহায় মানুষের বিপদে এগিয়ে আসলে আপনার বিপদকালে আল্লাহ্ ঠিক উদ্ধার করবেন।
আমি ক্ষুদ্র সামর্থ্য নিয়ে চেষ্টা করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষ থেকেই নিয়মিত রক্ত দেই, অন্যকেও দিতে উৎসাহ দেই। রক্তদানের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাঁধনের সদস্য ছিলাম না, তবে হল লাইফে ১৭ বার রক্ত দিয়ে সেরা ডোনারের সার্টিফিকেট পেয়েছি।
আম্মু ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি প্রায় ২৫ দিন। খুব অসুস্থ ছিল। ডাক্তার টানা ৬ ব্যাগ রক্ত দেয়ার কথা জানালো। আম্মু ও আমার O+, আমি দিলাম, বাকি ৫ ব্যাগ নিয়েও একদম চিন্তা করতে হয় নি। শুধু দুইজনকে ফোন দিলাম, ৫ ব্যাগ ম্যানেজ হয়ে গেলো। আলহামদুলিল্লাহ্, রক্ত দেয়ার পর আম্মুর শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক ভাল।
একটু আগে ফেসবুকে একটা পোষ্ট দেখলাম। একজন মুমূর্ষু গর্ভবতী বোনের জন্য 'AB-' গ্রুপের রক্ত প্রয়োজন। রোগীর ভাইয়ের সাথে কথা হলো। দুঃচিন্তামাখা কণ্ঠে জানালো, ডোনার না পাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি নিচ্ছে না। ১০ দিন হন্যে হয়ে খুঁজেও ম্যানেজ হয়নি। আমি তাকে আশ্বস্ত করলাম। সুমন নামের এক ছোট ভাইকে ফোন দিলাম, ওর রক্তের গ্রুপ 'AB-'। একবার বলাতেই সানন্দে সায় দিল। সুমন ইতিমধ্যে রক্ত দিতে হাসপাতালে পৌছে গেছে, রোগীকেও হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।
আল্লাহ্ আমাদের বোনকে সুস্থ রাখুক।
আশা করি, কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য অনুধাবন করবেন।
রক্ত দিন, আপনার এক ব্যাগ রক্ত একটা জীবন বাঁচাতে পারে!
আর মানুষের প্রয়োজনে, বিপদে-আপদে সদা এগিয়ে আসুন। বিশ্বাস রাখুন, আল্লাহ্ আপনার প্রয়োজনের মুহূর্তে আপনাকে নিরাশ করবে না।
গোলাম রাব্বানির ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/মৌসুমী