আমাকে একজন বলে, আপু আপনি ফেসবুকে রাজনৈতিক স্ট্যাটাস এত কম দেন কেন? দিতেই চান না। এই জন্য মনে হয় আপনি আমার মতো জনপ্রিয় হতে পারেননি। আমি তো ফেসবুকে সারাদিন ভাইদের নিয়ে স্ট্যাটাস দিই, দেখছেন আমার লাইক কত?
আমি আমার ব্যক্তিগত ছবি ছাড়লেও দেখছেন ১০হাজারের মতো লাইক আসে। এখনতো রাজনীতিটা আসলে ফেইসবুকেই হয়, কয়জনে রাজপথে যায়? আপু দেখবেন কিছুদিন পর সবাই ফেইসবুকেই রাজনীতি করবে, রাজপথে কাউকেই পাবেন না। আপু আমাকে কিন্তু সারা বাংলার মানুষ এই এক বছরে সবাই চেনে... আপনাকে কি এতজনে চেনে?
আরো অনেক কিছুই বললো আমাকে। আমি শুধু সেই চামচার উদ্দেশ্য বলতে চাই, সাহস থাকে তো নিজে দুকলম লিখে স্ট্যাটাস দে। অন্যের কাছ থেকে লিখে নিয়ে, অন্যের মেধাকে কিনে নিয়ে নিজের ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জাতির সাথে রাজনীতির সাথে প্রতারণা না করে নিজে নিজের মেধা জাতির কাছে প্রকাশ কর। তাহলেই বোঝা যাবে তুই কত্ত বড় রাজনীতিবিদ।
তবে একবছর আগে আসা ব্যক্তি আমার রাজনীতির সাথে নিজেকে তুলনা করেছে। এই ব্যাপারে আমি কিছু বলবো না। এর উত্তরগুলো বন্ধুরা আপনারা দেবেন। আমি শুধু আমাদের লিডারদের উদ্দেশ্য বলবো, এসব হাইব্রিডদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিন। তা না হলে এদের কারণে একদিন পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারে। আর দয়া করে ফেইসবুকে চামবাজি না করে রাজপথে আস তখন বোঝা যাবে তুমি কতটা জনপ্রিয় আর কত্তবড় রাজনীতিবিদ।
আমরা সবাই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাজনীতি করি, আমাদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সংগঠনের ইদানিং কিছু কর্মীদের দেখি নেতা হওয়ার জন্য ফেইসবুকে নেতাদের চামবাজি, গ্রুপিং, লবিং নিয়েই ব্যস্ত। লিখবে ভালো কথা, তাহলে এখানে গ্রুপিং কেন?
কয়জনে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা লেখে? কয়জনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখে? আছে শুধু নেতার সাথে মিনিটে মিনিটে সেলফি। তোমার কাছে কোনো নেতা একটু প্রিয় হতেই পারে, তাই বলে কি তুমি সেই নেতাকে নিয়েই শুধু লিখবে? সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক দুজনেই পরিশ্রম করেন। কিন্তু তোমরা নিজেরা পদ পাওয়ার আশায় দেখি শুধু একজনকে নিয়ে লেখ, কেন দুজনকে নিয়ে লিখলে অসুবিধা কোথায়?
আমাদের সংগঠনের নেতাদের এসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এই অসুস্থ মানসিকতা থেকে বের হয়ে আস, তা না হলে তোমাদের কারণেই মেধাবী পরিশ্রমীরা হারিয়ে যাবে। আর হাইব্রিডরা সামনের কাতারে চলে আসবে।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জেসমিন শামীমা নিঝুমের ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/কাফী