জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধদের প্রতিরোধে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগ সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের অসাম্প্রাদায়িক সোনার বাংলার মাটিতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান হতে পারে না। যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়, মানুষ হত্যা করে, তারা মানবতা ও ইসলামের শত্রু। এদের বাংলার মাটিতে কোনো স্থান নেই।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম এবং জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধ সাংবাদিক সমাজের উদ্যোগে ‘উগ্র ধর্মান্ধ ও জঙ্গিবাদ : রুখে দাঁড়াও সাংবাদিক সমাজ’’ স্লোগানে মানববন্ধন ও সমাবেশে সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, এসব গণশত্রু গুটি কয়েকজন উগ্র-ধর্মান্ধ জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসীর কারণে দেশের ১৬ কোটি মানুষ বিপদের সম্মুখীন হতে পারে না। তাই ষোলো কোটি বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই বাংলার মাটি থেকে উগ্রুবাদ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
ঢাকা বিভাগ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আলম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং ইকবাল হাসান কাজলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূইয়া।
আরো বক্তব্য দেন, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, সাবএডিটর কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি আশরাফ হোসেন, প্রবীন সাংবাদিক মৃণাল চক্রবর্তী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার শাহীন আফরোজ, এম এ ছালাম, সরদার শাহাদাত হোসেনসহ আরো অনেকে।
সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান মোল্লা সজল, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিটিস ফোরামের সভাপতি কবির মুরাদ তন্নয়, শ্রমিক নেতা দেলোয়ার হোসেন, স্বাধীনতা পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট খন্দকার ফরিদ হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশকে যখন বিশ্ব সভ্যতায় উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন, এমন সময় যুদ্ধাপরাধীদের অনুসারীরা ধর্মের দোহাই দিয়ে দেশকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্র করছে। জঙ্গি হামলা করে দেশের অগ্রযাত্রা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দৃঢ়তার সাথে জঙ্গি হামলা মোকাবেলা করেছেন, তা বিশ্ব সভ্যতায় প্রশংসা কুড়িয়েছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ফেডারেল ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূইয়া বলেন, যে সব মঠ, মন্দির, মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিরা উড়োচিঠি দিয়ে হামলার হুমকি দিয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে নজরদারি ও জোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।
তিনি বলেন, আজকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস উগ্রবাদ-ধর্মান্ধদের প্রতিরোধে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাংবাদিক সমাজ থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। একই ট্রেনে যাত্রা শুরু করেছে। দেশদ্রোহী কিংবা কোনো ষড়যন্ত্রকারী আর রেহাই পাবে না বলেও যোগ করেন তিনি।
বিবার্তা/বিপ্লব/কাফী