২৩ জুলাই, শনিবার একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক সাংবাদিক আহমেদ হুমায়ূনের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৯ সালের এই দিনে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৮ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
সাংবাদিক আহমেদ হুমায়ূন ১৯৫৩ সালে মহিনি কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাট্রিকুলেশন পাস করেন। ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫৬ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে সে বছরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনাকালীন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আহমেদ হুমায়ূন ১৯৫৮ সালে বি.এসসি করেন এবং ১৯৬১ সালে এম.এসসি পাস করেন ।
শিক্ষাজীবন শেষ করেই তিনি আদমজী জুটমিলের কোয়ালিটি কণ্ট্রলার পদে চাকরি নেন। এখানে বছরখানেক চাকরি করে ইংরেজি সাপ্তাহিক ঢাকা টাইমস-এর সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। পাশাপাশি তিনি জগন্নাথ কলেজে শিক্ষাকতাও করেছেন। তিনি ১৯৬৫ সালে দৈনিক পাকিস্তানের সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট লেকচারার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরপর তিনি ১৯৮৫ সালে দৈনিক বাংলার সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন এবং দীর্ঘ ১১ বছর এ পদে বহাল থেকে ১৯৯৬ সালে অবসর নেন। তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি অনেক লেখালেখিও করেছেন।
তার লেখা অসংখ্য বইয়ের মধ্যে ‘সিঙ্গেল কলাম, ডাবল কলাম (১৯৮৬)’, ‘আলেফ মিয়ার পৃথিবী (১৯৮৪)’, ‘নগর দর্পণ’ ও ‘বিপরীত পথে রবীন্দ্রনাথ(১৯৭৩)’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তিনি ১৯৮৭ সালে ‘একুশে পদক’ লাভ গ্রহণ করেন।
বিবাতা/ডিডি/ইফতি