তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের জেরে দমনাভিযানের অংশ হিসেবে দেশটির কর্তৃপক্ষ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পত্রিকা-চ্যানেল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। বিবিসি বলছে, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ফলে দেশটিতে ৩টি সংবাদ সংস্থা, ১৬টি টেলিভিশন চ্যানেল, ৪৫টি পত্রিকা এবং ১৫টি ম্যাগাজিন বন্ধ হয়ে যাবে।
এদিকে গেল ১৫ জুলাইয়ের ওই সামরিক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার জেরে সামরিক বাহিনীর ১,৭০০ সদস্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪৯ জন জেনারেল এবং এডমিরালও রয়েছেন।
সরকারের অভিযোগ এই অভ্যুত্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত তুর্কি ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন দায়ী। তবে তিনি এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। অভ্যুত্থানে অন্ততপক্ষে ২৪৬ জন নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি আহত হয়েছে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ।
বিভিন্ন গণমাধ্যম বন্ধ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বরখাস্তের এই খবর তুর্কি সরকারি রেশমি গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে।
তবে কোন কোন গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সেগুলোর নাম-তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, বন্ধ হতে যাওয়া গণমাধ্যমগুলোর অধিকাংশই ক্ষুদ্র সংস্থা, প্রাদেশিক গণমাধ্যম। তবে বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং সংস্থাকেও সরকার লক্ষ্যে পরিণত করেছে।
সামরিক বাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়াদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ৮৭ জন জেনারেল, বিমান বাহিনীর ৩০ জন জেনারেল এবং নৌবাহিনীর ৩২ জন অ্যাডমিরাল রয়েছেন।
এর আগে বুধবার, তুর্কি কর্তৃপক্ষ ৪৭জন সাংবাদিককে আটকের নির্দেশ দেয়। ইতিপূর্বে ৪২ জন রিপোর্টারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কয়েকদিন পরই এই নির্দেশ দেওয়া হলো।
বিবার্তা/জিয়া