বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি পদে উপনির্বাচন শুক্রবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ভোট গ্রহণ চলবে।
সংগঠনের সাবেক সভাপতি আলতাফ মাহমুদের মৃত্যুতে পদটি খালি হওয়ায় উপনির্বাচন করতে হচ্ছে।
উপনির্বাচনে এবার প্রার্থী হয়েছেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল ভুঁইয়া এবং বৈশাখী টিভির হেড অব নিউজ অশোক চৌধুরী।
উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরে দেশের মিডিয়া অঙ্গন ছিল মুখর। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। বলেছেন নিজের কথা, পাশাপাশি প্রতিপক্ষের দিকে নানা অভিযোগের তীর ছুড়তেও ভুল করেননি। এমন অভিযোগও এসেছে যে, নির্বাচনে কোটি টাকার খেলা চলছে। তার জবাবও এসেছে উল্টো দিক থেকে।
তবে সব অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পালা সাঙ্গ হচ্ছে শুক্রবার। এদিন ভোটাররা রায় দেবেন,কে হবেন নতুন সভাপতি।
কে হচ্ছেন বিএফইউজের (একাংশ) নতুন সভাপতি – এ প্রশ্নটি রাজধানীর মিডিয়া অঙ্গণে, বিশেষ করে জাতীয় প্রেস ক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) লাউন্জে, ক্যান্টিনে গত ক’দিন ধরে তুমুলভাবে আলোচিত হতে দেখা যায়।
এসব আলোচনায় বুলবুল-সমর্থকরা বলেন, বুলবুল ভাই অভিজ্ঞ ও ত্যাগী নেতা। বিএফইউজেতে তার বিকল্প নেই।
জবাবে প্রতিপক্ষের পাল্টা আক্রমণ, অভিজ্ঞ বটে, তবে তার অভিজ্ঞতা থেকে কমিউনিটির কী উপকারটা হয়েছে? আর ‘ত্যাগী’ কথাটা তার জন্য মোটেই খাটে না।
প্রতিপক্ষের কথায় ঘাবড়ান না বুলবুল-সমর্থকরা। বলেন, যত অপপ্রচারই করুন, ভোটাররা বুলবুল ভাইকে মূল্যায়ন করবেন। টাকা ছড়িয়ে কাজ হবে না। বুলবুল ভাইকে হারাতে কারা কোটি টাকা নিয়ে নেমেছে, আমরা জানি।
মনজুরুল আহসান বুলবুলের প্রধান প্রতিপক্ষ আবদুল জলিল ভুঁইয়া হওয়াই স্বাভাবিক হলেও বিস্ময়করভাবে সেখানে আসছে সাংবাদিকদের ট্রেড ইউনিয়ন অঙ্গণে অপরিচিত অশোক চৌধুরীর নাম। তার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে,চার দশক ধরে যারা নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন, এবার তাদের পরিবর্তে নতুন নেতা বেছে নিন।নতুনকে সুযোগ দিন।
অশোক চৌধুরীর সমর্থকদের এ আহবান মোটামুটি ভালো সাড়া জেগেছে। অপরিচিত হয়েও আলোচনায় চলে এসেছেন তিনি। তার পক্ষে কাজ করছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি শাবান মাহমুদ।
এদিকে আবদুল জলিল ভুঁইয়াও পিছিয়ে নেই। তার পক্ষেও বেশ-কিছু সাংবাদিক নেতা কাজ করছেন।
মনজুরুল আহসান বুলবুলের পক্ষে আছেন ডিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী। তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সমকাল সম্পাদক গোলাম সরওয়ার প্রমুখ সিনিয়র নেতারা সবাই বুলবুলের পক্ষে।
এ দাবির বিরোধিতা করে বিএফইউজের সাবেক কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, যিনি জলিল ভূঁইয়ার পক্ষে মাঠে নেমেছেন, তিনি বলেন, এসব সিনিয়র নেতার নাম ব্যবহার করে বুলবুলকে ‘ফোরামের প্রার্থী’ বলে দাবি করা হচ্ছে। সব প্রার্থীই তো এক ফোরামের। সেখানে একজন ব্যক্তি ‘ফোরামের প্রার্থী’ হন কীভাবে ?
এসব প্রশ্ন, অভিযোগ – সব কিছুর জবাব মিলবে শুক্রবারের নির্বাচনে। সবাই সেদিকেই তাকিয়ে আছেন।
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী