দ্রুত বিচার দাবির মধ্য দিয়ে যশোরের দৈনিক রানার সম্পাদক আরএম সাইফুল আলম মুকুলের ১৮তম হত্যাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার হত্যাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত নানা কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সাংবাদিক নেতারা বলেন, যশোরের সাংবাদিক মুকুল ও শামছুর রহমান হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। এ কারণে ত্রুটিপূর্ণ চার্জশিট দিয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। ফলে এ দুটি হত্যার বিচার হয়নি।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোতোষ বসুর সভাপতিত্বে আলোচনা করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা ও মিজানুর রহমান তোতা, সাংবাদিক ফখরে আলম, তৌহিদ জামান, জাহিদ আহমেদ লিটন।
আলোচনা সভা শেষে একইস্থানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এরপর একই জায়গায় সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর আয়োজিত স্মরণসভায় মরহুমের অনুজ কবিরুল আলম দিপু ভাই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
সংগঠনের সভাপতি নূর ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন, সাংবাদিক এম আইউব, সাইফুর রহমান সাইফ, এসএম সোহেল, নোভা খন্দকার, তৌহিদ জামান প্রমুখ।
অন্যদিকে যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা থেকেও এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করা হয়। এর আগে যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, প্রেসক্লাব যশোর নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিকদের পাঁচটি সংগঠনের নেতারা নিহতের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
উলেখ্য, ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে রানার সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল শহর থেকে বেজপাড়ার নিজ বাসভবনে যাওয়ার পথে চারখাম্বার মোড়ে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় নিহত হন।
পরদিন নিহতের স্ত্রী হাফিজা আক্তার শিরিন কারো নাম উল্লেখ না করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি যশোর জোনের তৎকালীন এএসপি দুলাল উদ্দিন আকন্দ ১৯৯৯ সালের ২৩ এপ্রিল সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বিবার্তা/তুহিন/কাফী