১৫ আগস্টের প্রথম প্রহরে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ সেন্টারে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ছাত্রলীগ পৃথক পৃথকভাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন, কবিতা আবৃত্তি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে শোক দিবস পালন করে।
সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন রানা (তন্ময়) এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আবেদিনের নেতৃত্বে প্রথম শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয়। সিঙ্গাপুর যুবলীগের আহব্বায়ক কে এইচ আলামিন এবং যুগ্ম আহব্বায়ক প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দাস জয়ের নেতৃত্বে যুবলীগ, সিঙ্গাপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহব্বায়ক মোস্তাক চৌধুরী এবং সদস্য সচিব আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ছাত্রলীগের সভাপতি বিল্লাল হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন।
সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন রানার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আবেদিনের পরিচালনায় দ্বিতীয় দফায় এক আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশকে একই সুতায় গাঁথা, এক অভিন্ন বাঁধন বলে মন্তব্য করেন।
তারা বলেন, যার জন্য স্বাধীন বাংলার জন্ম হয়েছিল, বাঙ্গালি এক স্বাধীন সার্বভৌম পতাকা পেয়েছিল, আজ যারা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে তারা চরমভাবে ইতিহাস বিকৃতি করছে, যারা তাকে বাংলার প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন। এটা ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের অপমান ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ তারা পাঠক এবং ঘোষকের ব্যবধানটাই জানেন না। জিয়াউর রহমান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষ হতে একজন ঘোষক মাত্র।
বক্তারা বলেন, জননেত্রী শেখহাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করে বাংলাদেশকে একটি সুখীসমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করবো। পরে তারা জাতির জনক এবং সেই কালো রাতে নিহত সব শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং ভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করে।
বিবার্তা/বাবু/জিয়া