জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদৎ বার্ষিকী এবং ‘জাতীয় শোক দিবস’ সোমবার অকল্যান্ডের ওয়েস্টার্ন স্প্রিং কমুনিটি হলে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ নিউজিল্যান্ড শাখার আহবায়ক ডা. আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী আফজালুর রহমান রনির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডে সদ্য নিযুক্ত বাংলাদেশ সরকারের ‘অনারারি কনসাল’ প্রকৌশলী সফিকুর রহমান ভুঁইয়া অনু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা শহিদুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা হানিফ মাহমুদ, স্থপতি শাহীন এবং মাউন্ট রস্কিল এলাকার লেবার পার্টির এমপি প্রার্থী মাইকেল উড।
বঙ্গবন্ধুর ৪১তম শাহাদৎ বার্ষিকী এবং ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন জিয়াউল করিম কিশোর এবং বেলী মাহমুদ।
বঙ্গবন্ধুর ওপর বিষয়ভিত্তিক বিশেষ প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রকৌশলী আফজালুর রহমান রনি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা আবৃত্তি এবং উন্মুক্ত আলোচনা করেন কাজী সেতু এবং ফাতিমা জোহরা।
আলোচনা সভার শুরুতেই ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে শাহাদাৎ বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং অন্যান্য শহীদদের, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৪ জাতীয় নেতার, ১৯৭১ -এর মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৫২- এর মহান ভাষা আন্দোলনসহ আজ পর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
তাঁদের সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দরুদ ও বিশেষ দোয়া করেন প্রকৌশলী নূর জাহাঙ্গীর।
সভায় বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে অকালে হারানোর এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে, জাতির পিতার স্বপ্ন- দুর্নীতি মুক্ত, শোষণহীন সমাজ তথা সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন এক বিশাল মহীরুহ! তাই তাঁর কীর্তির কথা বলে শেষ করা যাবে না। অসীম সাহস, বিশাল ত্যাগ, দীর্ঘ সংগ্রাম ও বাঙালি তথা বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং মহাকালের মহানায়কে পরিণত করেছে।
বিবার্তা/বিজ্ঞপ্তি/কাফী