দুই দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে মালয়েশিয়ায় ১৩৩ বাংলাদেশীসহ ৪৩৪ অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্র ও শনিবার দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের জালান আলোর, জালান চাঙ্গাত, শ্রী হারতামাসসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
সোমবার মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ভিয়েতনামের ‘ভিওভি’ অনলাইন ভার্সনে এ খবর প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, আটক বাংলাদেশীরা ছাড়া বাকি ১৩০ জন মিয়ানমারের নাগরিক।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হয়, বাজার, মহাসড়ক, হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, দোকান এবং জনসাধারণের চলাচল আছে, সম্ভাব্য এমন সব জায়গাতেই এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এই বিশেষ দল বিভিন্ন জায়গায় ব্লক রেইড দিয়ে শ্রমিকদের ‘পারমিট’ এবং কর্মস্থলের বৈধতা আছে কি না, সেটা যাচাই করবে। অভিবাসী আইন অমান্যকারীদের জেল-জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেয়ার ক্ষমতা দিয়ে পুলিশ বিভাগ, বিভিন্ন পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা থেকে কর্মীদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
এই অভিযানের আওতায় আরো থাকবে নিরাপত্তাকর্মী এবং গাড়িচালকরাও। অভিযান চলাকালে বৈধ কাগজে বর্ণিত পেশা এবং নিজ কর্মস্থল ছাড়া অন্য জায়গায় কর্মরত শ্রমিকদের অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এমনকি বাইরে কাজ করতে দেয়ার অপরাধে মালিককেও জরিমানা করা হবে।
মালয়েশিয়া বর্তমানে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত। তাই দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশীসহ বিদেশী শ্রমিকদের তথ্য সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এজন্য ২০১৬ সালের মার্চে ‘রি-হায়ারিং প্রোগ্রাম’-এর আওতাভুক্ত ফিঙ্গারপ্রিন্ট করে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, স্থানীয় যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করাই মালয়েশিয়া সরকারের অন্যতম উদ্দেশ্য। সরকারের ধারণা, মালিকরা সস্তায় অবৈধ বিদেশী শ্রমিক পাওয়ার কারণে স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যে বেকারত্বের হার বাড়ছে। সরকার বেকারত্ব দূরীকরণে এ মুহূর্তে মালয়েশিয়া থেকে অবৈধ বিদেশী শ্রমিক ছাঁটাই করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ দেখছে না। সূত্র: ভিওভি
বিবার্তা/নিশি