কানাডার রাজধানী অটোয়ায় ট্রাকচাপায় এক বাংলাদেশি তরুণী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে কানাডার রাজধানী অটোয়ায়। নিহত তরুণীর নাম নূসরাত জাহান। তাঁর বাবা অটোয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ২৩ বছর বয়সী নুসরাত সাইকেল চালিয়ে বাসা থেকে দুই ব্লক দুরে অ্যাকাউন্টিং ক্লাশে যাচ্ছিলেন। লিয়ন স্ট্রিট ও লরিয়র এভেনিউতে টমলিনসন কন্সট্রাকশনের একটি ট্রাক নূসরাতকে চাপা দেয়। মৃত্যুর সংবাদ মূলধারার বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশের পর পরই স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কানাডাস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনসহ প্রবাসীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। অটোয়ার সিটি মেয়র জিম ওয়াটসন নূসরাতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
ঘাতক ট্রাকটির মালিক প্রতিষ্ঠান টমলিনসন কন্সট্রাকশনও এক বিবৃতিতে ঘটনার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের প্রতিষ্ঠান অভ্যন্তরীণ তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে। পুলিশের তদন্তকেও তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।
নূসরাত মাত্র তিন বছর আগে বাবার চাকরির সুবাদে পরিবারের সাথে অটোয়ায় এসেছিলো। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে নূসরাত খুবই শান্ত, ভদ্র এবং অমায়িক ছিলো।
নূসরাতের অকালপ্রয়াণে কানাডা প্রবাসীদের মধ্যে গভীর শোকের পাশাপাশি ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে। এ মৃত্যু নেহাতই দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে একের পর এক প্রবাসী হত্যাকাণ্ড ঘটার পর এ রকমের ঘটনা অনেকটা প্রশ্নের মুখোমুখি করে তুলছে।
বিবার্তা/সদেরা/জিয়া