মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় ডেনমার্ক প্রবাসী বাঙালিরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি প্রকাশ করেন তারা।
জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের পর মীর কাসেম আলী ছিলেন আলবদর বাহিনীর তৃতীয় প্রধান ব্যক্তি। চার দশক আগে তার পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও নেতৃত্বেই আলবদর বাহিনী চট্টগ্রামে সংগঠিত হয়। ওই বাহিনী সেসময় যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তাতে মীর কাসেম আলী নিজেও অংশ নিয়েছেন।
বহু মানুষকে চট্টগ্রাম শহরের আন্দরকিল্লার ডালিম হোটেলে ধরে নিয়ে নির্যাতন; কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে সেখানে নির্যাতনের পর হত্যাং এবং স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের মতো ভয়ঙ্কর সব অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ৬৪ বছর বয়সী কাসেম। অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সব আইনি লড়াই ব্যর্থ হওয়ার পর শনিবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মীর কাসেম আলীর ফাঁসির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ষষ্ঠ ব্যক্তির সর্বোচ্চ সাজার রায় কার্যকর হল। তিনি হলেন জামায়াতের পঞ্চম শীর্ষ নেতা। ধারণা করা হয়, তার যোগানো অর্থেই স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী শক্ত ভিত্তি পায়।
ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় ডেনমার্ক প্রবাসী বাঙালিরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে দেয়া অঙ্গীকার পালন করায় শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।
বিবৃতিতে সম্মতি জানান ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন মিঠু, সাধারণ সম্পাদক ড. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালেব ভূঁইয়া, আমির হোসেন, হিল্লোল বড়ুয়া, ফাহমিদ আল মাহিদ, আল জাহিদ, রেজাউল করিম, ইফতিখার বাপ্পি, সারওয়ার কামাল, মহিউদ্দিন আহমেদ, মাহফুজুর রহমান, হাসনাত আলী, সোহাগ, ডেনমার্ক যুবলীগের ভারপাপ্ত সভাপতি জামিল আখতার কামরুল, সাধারণ সম্পাদক আমির জীবন, ডেনমার্ক ছাত্রলীগের সভাপতি ইফতেখার সম্রাট, ফয়সাল আহমেদ, কিশোর দেবনাথ, আব্দুল হামিদ, জুয়েল প্রমুখ।
বিবার্তা/বিদ্যুৎ/নিশি